অশান্ত মুর্শিদাবাদে যাওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, কবে যাচ্ছেন তিনি?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:-  হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার তিনি নিজেই এই কথা জানিয়েছেন ৷ এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভা ছিল তাঁর ৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মুর্শিদাবাদ সফরের কথা ঘোষণা করেন ৷ জানান, তিনি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি নিজে মুর্শিদাবাদ যাব এবং সব ব্যবস্থা করে দিয়ে আসব । এইটুকু ভরসা আপনারা করতে পারেন, নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন । মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কর্তব্য । আমি দাঙ্গা চাই না । শান্তিই হোক বাংলার পথ ।”

উল্লেখ্য, ওয়াকফ-অশান্তিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মুর্শিদাবাদে ৷ ধুলিয়ান, সুতি, সামশেরগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে ৷ সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে হরিগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস নামে বাবা-ছেলেকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ৷ অন্য একটি ঘটনায় নিহত হন আরও একজন ৷

আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে সেকেন্ডের মধ্যে…, কোন হুঁশিয়ারি দিলেন মোদির মন্ত্রী ?

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সুতি-ধুলিয়ান ছেড়ে বহু পরিবার আশ্রয় নেন মালদায় ৷ ইতিমধ্যে ঘরছাড়াদের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দেখা করেছেন ৷ জাতীয় মহিলা কমিশন এসেছে ৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও গিয়েছে ৷ মুর্শিদাবাদেও তারা সফর করেছেন ৷ সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও গিয়েছে ৷ বিজেপিও গিয়েছে ৷

ঘটনার পরপরই রাজ্যের তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসএফ মোতায়েন করা হয় ৷ পরে কলকাতা হাইকোর্টও হিংসাদীর্ণ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় ৷ এলাকার বাসিন্দারাও বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির দাবি তুলেছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন সেখানে যাচ্ছেন না, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন না, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা ৷

সেই প্রশ্নের জবাবই কার্যত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দু’টি ওয়ার্ডে অশান্তি হয়েছে । আমরা দাঙ্গা চাই না । ধুলিয়ানে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বহিরাগতদের ভূমিকা রয়েছে । কিছু স্থানীয় লোককে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে এই চক্রান্ত করা হয়েছে, আমরা তা ফাঁস করে দেব ।”

একই সঙ্গে নিহতদের পরিবার, ঘরছাড়া মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে 10 লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা এমপিরা বলেছেন, সরকারও সে দায়িত্ব নিতে পারে । যাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে, তাঁদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে । যাঁদের দোকান লুট হয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে সার্ভে চলছে ।”

বিরোধীদের কটাক্ষ করলেও কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি এখনই যাচ্ছি না, কারণ আমি চাই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হোক । মানুষের আস্থা ফিরুক, তারপর আমি যাব ।” সেই সঙ্গে রাজ্যপালকেও ঘটনাস্থলে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি ৷ যদিও রাজ্যপাল সে কথা শোনেননি ।

এদিকে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এলাকা চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের কাজ আরও জোরদার করা হবে । বাড়ি নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চায় রাজ্য প্রশাসন ।

আরও পড়ুন:- প্রায় দিনই মাথা যন্ত্রণা করছে, শরীরে কিছু বিপজ্জনক রোগ পাকছে? জানুন জরুরি তথ্য

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন