Bangla News Dunia, Pallab : পাকিস্তান গঠনের ইতিহাস মনে করাতে গিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory) উসকে দিলেন পাক সেনাপ্রধান (Pakistan’s Army chief) আসিম মুনির (Asim Munir)। তাঁর মতে, হিন্দু ও মুসলিমদের বিভাজনের জন্যই দেশ ভাগ হয়েছে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান (Pakistan) তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্মার্টফোনের এই ৭ টিপস না জানলে বিপদ, কমতে পারে ডিভাইসের জীবন
বুধবার অনাবাসী পাকিস্তানিদের এক সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন পাক সেনাপ্রধান। সেসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা আলাদা। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আলাদা… এটাই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল যে আমরা দুটি আলাদা জাতি, এক নয়।’
মুনির আরও বলেন, ‘আপনাদের সন্তানদের এটা বলা উচিত যাতে তাঁরা কখনও পাকিস্তানের গল্প ভুলে না যায়। পূর্বপুরুষরা আমাদের জন্য বহু আত্মত্যাগ করেছেন। আমরাও এই দেশ গঠনের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। তাই আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, পুত্র ও কন্যারা, দয়া করে এই গল্পটি ভুলে যাবেন না।’ প্রসঙ্গত, ১৯৪০-এর দশকে মহম্মদ আলি জিন্নাহ দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, মুসলিম ও হিন্দুরা পৃথক জাতি। সেই কারণে জিন্নাহ মুসলিমদের জন্য আলাদা দেশের দাবি করেছিলেন। এরপরই ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয় এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়।
যদিও এদিন এখানেই থামেননি পাক সেনাপ্রধান। পাকিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপ দমনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় সেনার তুলনা টেনে এনেছেন তিনি। মুনির বলেন, ‘আপনারা কি মনে করেন জঙ্গিরা আমাদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিতে পারে? ১৩ লক্ষ ভারতীয় সেনা তাঁদের সমস্ত ক্ষমতা দিয়েও যদি আমাদের ভয় দেখাতে না পারে, তাহলে আপনারা মনে করেন এই জঙ্গিরা পাকিস্তান সেনাকে দমন করতে পারবে?’ এরপরই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কাশ্মীর আমাদের জিউগুলার ভেন ছিল, আছে, থাকবে। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে ছেড়ে দেব না।’
নিজের বক্তৃতার মাধ্যমে ফের দ্বিজাতি তত্ত্ব থেকে কাশ্মীর ইস্যুকে উসকে দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। যদিও মুনিরের মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পালটা বিবৃতি জারি করেনি ভারতের বিদেশমন্ত্রক।