Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি, যা শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে । কিডনির অনেক কাজ আছে, যার মধ্যে প্রধান কাজ হল রক্ত পরিষ্কার করা ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করা এছাড়াও অতিরিক্ত তরল পদার্থ বের করে দেওয়া । এছাড়াও, কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য, লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন এবং হাড় সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ।
পুষ্টিবিদ রাখি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডায়াবেটিস কিডনির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৷ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে ৷”
তিনি আরও জানান, এমন পরিস্থিতিতে, সুস্থ থাকার জন্য কিডনির স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ । দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রায়শই কিডনির নীরব ক্ষতি হয় ৷ যা প্রাথমিকভাবে ধরা নাও পড়তে পারে । যখন কিডনি সম্পর্কিত সমস্যা ধরা পড়ে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায় । এমন পরিস্থিতিতে, কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে খারাপ পরিণতি এড়ানো যায় । কিডনি বিকল হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়, সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এমনই জানান পুষ্টিবিদ ৷
পা এবং মুখ ফুলে যাওয়া: যখন কিডনি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত জল অপসারণ করতে অক্ষম হয়, তখন তা শরীরে জমা হয়, যার ফলে পা ফুলে যায় এবং চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয় ।
উচ্চ রক্তচাপ: খারাপ কিডনি শরীরে এমন রাসায়নিক নিঃসরণ করে যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয় ৷ যার কারণে তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায় ।
প্রস্রাবে ফেনা হওয়া: প্রস্রাবে সামান্য ফেনা হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং ক্রমাগত হয় তাহলে এর অর্থ প্রোটিন লিকেজ হতে পারে, যা কিডনির ক্ষতির লক্ষণ ।
প্রস্রাবের গাঢ় রঙ: গাঢ় হলুদ প্রস্রাবও বিপদের লক্ষণ হতে পারে । এর অর্থ হল কিডনির গুরুতর সমস্যা হতে পারে ৷
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া: সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব করা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয় । এছাড়াও, রাতে মাঝে মাঝে প্রস্রাব করা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এটি ঘন ঘন ঘটে, তাহলে এটি কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে ।
ক্রমাগত বমি হওয়া: কিডনি বিকল হলে রক্তে বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে ৷ যারফলে কোনও কারণ ছাড়াই বেশ কয়েক দিন ধরে বমি হতে পারে ।
পুষ্টিবিদ বলেন, “কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া, গুগল দেখে ওষুধ খাওয়া অথবা পেনকিলার খাওয়া কিডনির উপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করতে পারে ৷”
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)