Bangla News Dunia, Pallab : বাল্যবিবাহের করুণ পরিণতি। অকালে প্রাণ হারাল নাবালিকা গৃহবধূ। একদিকে পরিবারের চাপে বিয়ে, অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির তরফে পণের দাবিতে অকথ্য অত্যাচার। এই পরিস্থিতিতে অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল বছর ১৬-র গৃহবধূ।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে কবে থেকে শুরু SIR ? দেখুন বিস্তারিত
মুর্শিদাবাদে ডোমকল (Domkal) লাগোয়া দৌলতাবাদ এলাকার ঘটনা। মাত্র তেরো বছর বয়সে সুহানা খাতুনের (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে হয়েছিল বছর আঠারোর বিল্টু শেখের (নাম পরিবর্তিত ) সঙ্গে। দুই পরিবারের মতেই তাদের বিয়ে হয়। বিল্টু পেশায় ট্রাক্টর চালক। তিন বছরের বিবাহিত জীবনে সুহানার ওপর বারবার অকথ্য অত্যাচার করত বিল্টু ও তার পরিবারের লোকেরা। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সুহানা কয়েকবার বাবার বাড়িতেও চলে গিয়েছিল। প্রতিবার ‘আর হবে না’ বলে তাকে ফিরিয়ে আনত বিল্টু। এসবের মাঝেই সাত মাস আগে সুহানা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। মেয়ের জন্মের পর অত্যাচারের মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়। সম্প্রতি মেয়ের শরীর খারাপ নিয়ে স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি বাধে। বিল্টু সকলের সামনে সুহানাকে বেধড়ক মারে। অপমানে সুহানা কীটনাশক খেয়ে নেয়। এরপর প্রতিবেশীরাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর দেয় তার বাবার বাড়িতে।
স্থানীয় হাসপাতাল থেকে কলকাতায় (Kolkata) সংকটজনক অবস্থায় সুহানাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা (Doctor) তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মেয়ের বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন : জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে ?