কীর্তিমান তৃণমূল বিধায়ক, ইডি ঢুকতেই মোবাইল নর্দমায় ফেলে পালানোর চেষ্টা জীবনকৃষ্ণের

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : বদলাননি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে এর আগে মোবাইল ফোন ছুড়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেবার বিধায়কের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ফের আরও একবার একই কাণ্ড ঘটালেন জীবনকৃষ্ণ। অভিযোগ, এ বার ইডিকে দেখে বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে পিছনের ঝোপে মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ সেই মোবাইল উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সোমবার সকালে ‘মোবাইল কাণ্ডে’ ফের শোরগোল পড়ে গেল মুর্শিদাবাদের আন্দিতে।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আন্দির গ্রামে জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ইডির উপস্থিতি টের পেতেই তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডির ৫ আধিকারিক।

এদিন শুধুমাত্র আন্দির গ্রামে জীবনকৃষ্ণর বাড়িতেই নয়, একযোগে ইডি হানা দিয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় জীবনকৃষ্ণর পিসি তথা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়ি, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়ি এবং মহিষ গ্রামের ব্যাংককর্মী রাজেশ ঘোষের বাড়িতে। সব জায়গাতেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে আন্দির গ্রামে জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে নিজের দুটি ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। বহু চেষ্টার পর ফোন দু’টি উদ্ধার করা হয়। সেই মামলাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এরপর দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে, কাদা-জল ঘেঁটে দু’টি মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। অবশ্য, সুপ্রিম নির্দেশে জামিন পাওয়ার পর জীবনকৃষ্ণ সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন তিনি এমন কোনও কাজ করেননি। দীর্ঘ ১৩ মাস জেল খাটার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবে আবারও ‘মোবাইল এপিসোডে’ নাম জড়ানোয় রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাপ বাড়ল তৃণমূলের উপর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত গভীরে যাচ্ছে, ততই বিতর্কে জড়াচ্ছেন শাসকদলের এই বিধায়ক।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন