Bangla News Dunia, Pallab : পদ্মাপাড়ের দেশে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলন শুরুর আগে থেকেই তার আঁচ পেয়েছিল নয়াদিল্লি! বক্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার বিদেশমন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির কাছে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু আগে থেকেই হাসিনাকে গদিচ্যুত করা আন্দোলনের আভাস পাওয়া সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ভারত? এই প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তাঁদের পক্ষে। এই প্রসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা তুলে ধরে জানান, রাষ্ট্রসংঘও হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ব্যাপারে সতর্ক করেছিল সেদেশের সেনাকে। এর পাশাপাশি জয়শঙ্কর এই ব্যাপারে চিনের ওপরেও দায় চাপিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে চিনেরও ভূমিক ছিল।
আরও পড়ুন : ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৬ ঘণ্টা ! রাজ্যের এই কর্মীদের ডিউটির সময় কমিয়ে আনলো নবান্ন
উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট গণ অভুথ্যানের জেরে দেশ ছাড়া হতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। বর্তমানে তিনি ভারতের কূটনৈতিক আশ্রয়ে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। যদিও হাসিনাকে দেশে ফেরাতে নয়াদিল্লির ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় কোনও কসুর রাখেনি ইউনূস সরকার। এই প্রসঙ্গে ইন্টারপোলেরও দারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
অপরদিকে এপ্রিল মাসের ২ থেকে ৪ তারিখ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। যাওয়ার কথা রয়েছে ইউনূসের। তবে কি সেখানেই আন্তর্জাতিক সামিটের ফাঁকে তাঁদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে! তবে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান যে, তাঁর কাছে আপাতত এমন কোনও তথ্য নেই।