ট্রাক মালিকদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়! কাঠগড়ায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

সিউড়িঃ জোরপূর্বক ট্রাক মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের টাকা নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। ভিডিও সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আমনদীপ।

মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলেন তারা। ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, জোরপূর্বক বিভিন্ন গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে পুলিশ। একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় তাঁদের পক্ষ থেকে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আধিকারিক টাকা গুনছে। ট্রাকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথমে একটি বা দুটি লরিকে আটকানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তারপর কেস দেওয়া হচ্ছে। কোর্টের অর্ডারে গাড়ি রিলিজ হয়ে যাওয়ার পরেও জোরপূর্বক দুটি গাড়ির মালিকের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিও এবং অডিও ক্লিপিং সাংবাদিকদের তুলে দেন ট্রাকে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ।

ট্রাকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শীঘ্রই পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। তাতেও কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশন।

ট্র্যাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাস আহমেদ বলেন, “২৩ সেপ্টেম্বর ট্র্যাক মালিক এমদাদুল হোসেনের দুটি গাড়ি তালবাঁধ থেকে মল্লারপুরের মোদিয়ানে বালি বোঝাই করে যাচ্ছিল। রাস্তায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ দুটি গাড়ি ধরে কোর্টে পাঠায়। এমদাদুল কোর্ট থেকে গাড়ি দুটির রিলিজ অর্ডার করে থানায় যায়। কিন্তু তারপরও পুলিশ গাড়ি দুটি ছাড়েনি। তারা দুটি গাড়ির জন্য ১ লক্ষ্য ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। এমনকি ফোনেও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার সমস্ত কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এরপর আমরা এমদাদুলকে টাকা দেওয়ার পরামর্শ দিই। টাকা দেওয়ার ছবি আমরা মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে রাখি। পুলিশের চাপে ট্র্যাক মালিকরা নিঃস্ব হচ্ছেন।” ট্র্যাক অ্যাসোসিয়েশনের আরও অভিযোগ, পুলিশের কিছু অফিসার গাড়ি কিনে তারা নিজেরাই ব্যবসা করছেন। ফলে যারা মোটা টাকা লাগিয়ে লরি কিনে ব্যবসা করছেন তাদের উপর অত্যাচার করছে। তাদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তাতেও কাজ না হলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন।  এই বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে মহম্মদবাজার থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম এবং কিরণ মণ্ডলকে সাসপেন্ড করেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন