Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শর্ত না মানায় হার্ভার্ডের বিপুল অঙ্কের ফান্ডিং আটকে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন্য বরাদ্দ প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অনুদান বন্ধের ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের নির্দেশ সায় না দেওয়াতেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত। তবে এই বিষয়ে হার্ভার্ড সরাসরি কিছু জানায়নি। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউজের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন-প্রতিবাদ সীমিত রাখতে হবে। পাশাপাশি ডাইভার্সিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (DEI) প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে।
এই বরাদ্দের মধ্যে ছিল ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি। শিক্ষা দফতরের অ্যান্টিসেমিটিজম বিরোধী টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, হার্ভার্ডের এই অস্বীকার ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে থাকা সমস্যাজনক একাধিকার মনোভাবের প্রতিফলন।’
এই পদক্ষেপের পর, মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ট্রাম্পের সমালোচনা করেন এবং হার্ভার্ডের ছাত্রছাত্রীদের প্রশংসা করেন যারা ‘অধিকার হরণকারী স্বৈরতন্ত্র’-এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়কে চিঠি দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, সরকার যেই দলই পরিচালনা করুক, তাদের অধিকার নেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে এবং কোন বিষয়ে গবেষণা করবে তা নির্ধারণ করার।
গারবার জানান, প্রশাসনের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করে এবং ‘টাইটেল VI’-এর আওতাধীন ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে। এই আইন জাতি, বর্ণ বা জাতিগত উৎসের ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করে।
তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখবে এবং নিজেদের ভুল আমরা নিজেরাই শুধরাবো। আইনের বাইরে ক্ষমতা প্রয়োগ করে হার্ভার্ডে শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’
এই ঘটনার পরই সরকার হার্ভার্ডের বিপুল পরিমাণ অনুদান স্থগিত করে দেয়।
এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হার্ভার্ডকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো ও নেতৃত্বে বড়সড় পরিবর্তনের দাবি জানান। সেই সঙ্গে ভর্তি নীতিতে সংস্কার ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের স্বীকৃতি বন্ধ করার অনুরোধও জানানো হয়। জানানো হয়, এই নির্দেশ না মানলে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের অনুদান বন্ধ করা হতে পারে।
হার্ভার্ড ছাড়াও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাউন এবং প্রিন্সটনের অনুদানও একই কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে। এই একই কৌশলে কিছুদিন আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয় তাদের নীতি পরিবর্তন করতে।
গারবার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টিসেমিটিজম রুখতে অনেক সংস্কার এনেছে। তবে সেই পরিবর্তন সরকারের নির্দেশে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় নিজের সিদ্ধান্তেই করবে।
আরও পড়ুন:- মাত্র ৫ হাজার টাকায় কলকাতা থেকে ৭টি দুর্দান্ত ট্রিপ, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:- নববর্ষে খুশির খবর! রোজভ্যালির টাকা ফেরত পেতে চলেছেন ৭.৫ লক্ষ মানুষ