Bangla News Dunia, Pallab : নিউ ইয়র্ক (New York) শহরে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে চলতে থাকা পাবলিক ডান্স ফেস্টিভ্যাল, ব্যাটারি ডান্স ফেস্টিভ্যাল (Battery Dance Festival)। এই বছর এই ফেস্টিভ্যালে ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এবারের ফেস্টিভ্যালে ১৫ অগাস্ট দিনটি ‘ইন্ডিয়া ডে’ হিসাবে পালিত হবে, যেখানে ‘শক্তি – নারীত্বের দিব্য শক্তি’- এই থিমের উপর ভিত্তি করে একাধিক সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশন করা হবে। ১২ থেকে ১৬ই আগস্ট পর্যন্ত চলা এই উৎসবে সারা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন নৃত্য দল অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ফেস্টিভ্যালটি এই বছর ৪৪ তম বর্ষে পদার্পন করতে চলেছে।
আরও পড়ুন : গ্রাহকদের বিরাট স্বস্তি! গ্যাসের দাম অনেকটা কমালো কেন্দ্র সরকার। জানুন কতটা কমলো
ব্যাটারি ডান্স ফেস্টিভ্যালের প্রতিষ্ঠাতা তথা আর্ট ডিরেক্টর জোনাথন হল্যান্ডার জানান, “গত দুই বছর আমরা ‘পুরুষ’, অর্থাৎ পুরুষ নৃত্যশিল্পীদের উপর জোর দিয়েছিলাম। এই বছর আমরা তা পরিবর্তন করে ‘শক্তি, দিব্য শক্তি’র উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশেষভাবে সাজানো দিনে সাতটি ভিন্ন দল তাদের সৃজনশীলতায় নারীত্বের এই সারমর্মকে তুলে ধরবে। বর্তমান বিশ্বে এত সংঘাত, বিভেদ ও অনিশ্চয়তার মাঝে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
‘ইন্ডিয়া ডে’র এই অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সাহায্য করেছে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া । এই বিশেষ দিনে বেশ কিছু অসাধারণ পরিবেশনা থাকবে। এর মধ্যে অন্যতম হল কলকাতার নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার শুভজিৎ খুশ দাস-এর নতুন প্রযোজনা, যা তিনি পিটসবার্গ-এর নন্দনিক ডান্স ট্রুপের সঙ্গে মিলে দেবী কালীকে উৎসর্গ করে তৈরি করেছেন।
এছাড়াও নারী শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নৃত্য পরিবেশন করবেন আরও অনেক শিল্পী। এদের মধ্যে রয়েছেন কোরিওগ্রাফার বিজয়িনী শতপথি, মায়া কুলকার্নি-লাদা পাডা, সোনালি স্কন্দন, স্বাথি গুণ্ডাপুনিডি-আটলুরি, রঞ্জিত বাবু এবং মালিনী শ্রীনিবাসন। কলকাতা, পিটসবার্গ, নিউ জার্সি এবং নিউ ইয়র্কের নৃত্যশিল্পীরা ওডিশি, ভারতনাট্যম, কুচিপুডি, কত্থাকলির মতো বিভিন্ন ঘরানার নৃত্যশৈলী পরিবেশন করবেন।
প্রসঙ্গত, ব্যাটারি ডান্স ফেস্টিভ্যাল নিউ ইয়র্ক সিটির সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ফ্রি পাবলিক ডান্স ফেস্টিভ্যাল। এই প্রসঙ্গে হল্যান্ডার বলেন, “আমরা সবাই নিজেদের মনকে সতেজ করার একটি মুহূর্ত খুঁজছি। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার মানুষ যখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই উৎসবে অংশ নেন, তখন এটি মানব প্রকৃতি এবং আমাদের মধ্যকার মিলগুলিকে উদযাপনের একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করে।”