Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্যে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা পড়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি হল ওবিসি মামলা। রাজ্য সরকারের দাবি ওবিসি মামলার কারণে বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ বিভিন্ন ফলাফল প্রকাশ ইতিমধ্যে স্থগিত রয়েছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানা যায়, রাজ্যে ইতিমধ্যে একটি টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে যার ফলাফল প্রকাশ হয়নি এবং একটি টেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পরও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়নি। জানানো হয়েছে এর পেছনে রয়েছে ওবিসি মামলা। এবার অবশেষে সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : আধার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমানের ডকুমেন্টস নয় – জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট
আমরা জানি, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের টেট (TET) পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। দীর্ঘ দুই বছরের অপেক্ষার পর এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রাজ্য সরকারের কাছে স্পষ্ট নির্দেশনা চেয়েছে—কোন নিয়মে ওবিসি সংরক্ষণ মেনে এই ফল প্রকাশ করা হবে। এর উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা এড়িয়ে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা।
টেট ২০২৩: দীর্ঘ অপেক্ষার শুরু
প্রাথমিক টেট ২০২৩ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৪ ডিসেম্বর। মোট তিন লক্ষ নয় হাজার ৫৪ জন প্রার্থী নাম নথিভুক্ত করলেও পরীক্ষায় বসেন দুই লক্ষ ৭২ হাজার জন। পরীক্ষার পর থেকেই প্রার্থীরা ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন, কিন্তু ওবিসি সংরক্ষণ নীতির অস্পষ্টতার কারণে পুরো প্রক্রিয়া থমকে আছে।
এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, “দীর্ঘদিন হয়ে গেল পরীক্ষার্থীরা ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্যের নির্দেশ স্পষ্ট নয়। তাই রাজ্যের কাছ থেকে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে যাতে পরবর্তীতে আইনি বাধার মুখে পড়তে না হয়।”
সংরক্ষণের জটিলতা: ২০১০ বনাম ২০১৭ সালের নিয়ম
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের নিয়ম অনুযায়ী ওবিসি শ্রেণির প্রার্থীদের ন্যূনতম ৮২ নম্বর পেলে তাঁরা পাশ হিসেবে বিবেচিত হবেন। এই নিয়ম মেনে ফলপ্রকাশ করলে বড় কোনো সমস্যা হবে না বলে পর্ষদের ধারণা।
কিন্তু যদি ২০১০ সালের আইনকে অনুসরণ করতে হয়, তাহলে অনেক প্রার্থী সংরক্ষণের সুযোগ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা । এর ফলে, এই বিষয়টি নিয়ে সরকারী নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষক নিয়োগের জরুরি প্রয়োজন
টেটের ফলপ্রকাশ আটকে থাকায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও বিলম্বিত করা চ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক হাজার শূন্যপদ রয়েছে, যা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
জানা যায়, পর্ষদ ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে শূন্যপদের সঠিক পরিসংখ্যানও চেয়েছে, যাতে ফলপ্রকাশের পরপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।।
আরও পড়ুন : গ্রাহকদের বিরাট স্বস্তি! গ্যাসের দাম অনেকটা কমালো কেন্দ্র সরকার। জানুন কতটা কমলো