বাঁধ নির্মাণ শেষ হলেই ভারতে মিসাইল হামলা, হুঁশিয়ারি মুনিরের

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- অপারেশন সিঁদুর ও পরবর্তী লড়াইয়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরে তড়িঘড়ি সংঘর্ষবিরতির আবেদন করেছিল পাকিস্তান। সেই সময়েই কোনও প্রমাণ ছাড়া আক্রমণের জন্য ভারতকে দোষারোপ করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। এ বার আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি পারমাণবিক সংঘাতের হুমকি দিলেন মুনির। সিন্ধু জলচুক্তির সমালোচনা করে ভারতীয় বাঁধ ধ্বংসের হুঁশিয়ারিও শোনা গেল মুনিরের মুখে।

ট্যারিফ নিয়ে টানাটানির মধ্যে বর্তমানে আমেরিকায় আছেন মুনির। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর এটা তাঁর দ্বিতীয় মার্কিন সফর। সেই সফরের মাঝেই ফ্লোরিডায় একটি নৈশভোজে উপস্থিত হয়ে মুনির বলেন, ‘আমাদের হাতেও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যদি মনে করি আমরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি, তা হলে অর্ধেক বিশ্বকে ধ্বংস করব।’

তবে মুনিরের যুদ্ধ জিগির নতুন নয়। তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই পহেলগামে জঙ্গি হামলা হয়েছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গত কয়েক বছরে আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি দেশের চারটির মধ্যে দু’টি প্রদেশে (বালোচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এমত অবস্থায় পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের জনপ্রিয়তা কমতে থাকায় কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের জিগির তুলেছিলেন মুনির বলে মনে করা হয়। এ বার আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের সেই মনোভাবের পরিচয় দিলেন পাক সেনাপ্রধান।

পহেলগাম হামলার পরেই ভারত সিন্ধুজল চুক্তি রদ করে। এমনকী, সিন্ধুর জল আটকাতে জায়গায় জায়গায় নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করার পরিকল্পনাও করছে নয়াদিল্লি। সেই নির্মাণ উড়িয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েননি মুনির। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা ভারতের বাঁধ নির্মাণের জন্য অপেক্ষা করব। এটি নির্মাণ হয়ে গেলে আমরা ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করে দেব। সিন্ধু ভারতের সম্পত্তি নয় এবং আমাদের অস্ত্রভাণ্ডারে যথেষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।’

রাশিয়ার থেকে তেল কেনার অজুহাত দেখিয়ে ভারতের উপর ৫০% শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ভারতের অবস্থান নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দিতে দেখা গিয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। এমত অবস্থায় সুকৌশলে আমেরিকাকে কাছে টানার প্রয়াস করেন পাক সেনাপ্রধান। মুনিরের একটি বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ যদি ভালো কাজ করে, আমরা তাঁদের প্রশংসা করি। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।’ উল্লেখ্য, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিয়ে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।

আরও পড়ুন:- রেলে প্যারামেডিক্যাল পদে প্রচুর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, জেনে নিন কিভাবে আবেদন করবেন

আরও পড়ুন:- বিশ্বজুড়ে ‘রাজ’ করছে পাকিস্তানের প্রায় ৪ কোটি ভিখারি, তাঁদের আয় জানলে চমকে যাবেন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন