Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘আড়ি’ সিনেমার প্রচারে কলকাতায় হাজির মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন কলকাতার সাংবাদিকদের মন। বললেন, “হাসি মজা খুনসুটিই যদি না থাকে জীবনে তা হলে আর কী নিয়ে বাঁচবে?”
অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘গয়নার বাক্স’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷ দীর্ঘ বছর পর আবার বাংলা ছবিতে অভিনয় স্বর্ণযুগের অভিনেত্রীর ৷ এতদিন পরে কেন? মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি তো করতেই চাই। তোমরাই তো ভালো ছবি করতে ডাকছ না। ভালো ফিল্ম মেকার আলাদা, প্রোপোজাল মেকার আলাদা। ভালো ছবি বানানোর জন্য আবেগের দরকার। ভালো ছবি নিয়ে আমাকে প্রতি বছর ডাকো না। আমি আসব। যেমন করে আমাকে যশ আর নুসরত ডাকল। ওদের গল্পটা আমার ভালো লেগেছে। জিতের পরিচালনা আমার ভালো লেগেছে। জিতের অ্যাপ্রোচটা ভালো লেগেছে।”
আরও পড়ুন:- এবার থেকে পরা যাবে না সেনার পোশাক, হতে পারে জেলও, বিস্তারিত জেনে নিন
অভিনেত্রী বলেন, “আড়ি করতে আমার ভালো লেগেছে, কারণ পরে ভাবটা ভালো জমবে।” গোটা সাংবাদিক সম্মেলন মজায় আর খুনসুটিতে ভরিয়ে তোলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। যশ এবং নুসরতের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, “ওদের জুটিটা আমার ভালো লাগে। তাই ওদের বলেছি, বাড়িতে যতই লাথালাথি, জুতোজুতি কর না কেন, বাইরে সকলের সামনে হাত ধরাধরি করে থাকবি তোরা।” |
অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা সিনেমার কতটা বদল দেখতে পান? তিনি বলেন, “শুধু বাংলা সিনেমা কেন পশ্চিমবাংলার সবকিছুই আজ পাল্টে গেছে। আর গোটা চিত্রজগৎটাই তো পাল্টে গেছে। তা সে বাংলা বলো আর হিন্দি বলো। আর তোমরা পুরনো কাপড় ড্রাইক্লিন করে ছাড়ছ। কোথায় ভালো ছবি তৈরি হচ্ছে এখানে? স্টুডিও পাড়াও তো আজ পাল্টে গেছে। ওটা স্টুডিও পাড়া নাকি বাড়ির পাশের পাড়া চেনা যায় না।…”
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে এদিন বলতে শোনা যায়, “বাংলা ছবিতে আমাকে চিনিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার, ‘বালিকা বঁধূ’র মাধ্যমে। আর আমাকে মুম্বইতে পরিচয় করিয়েছিলেন আমার শ্বশুরমশাই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।” আড়ি’ প্রসঙ্গে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে বলেন, “বাবা-মায়েরা যখন ছেলেমেয়েদের বড় করার জন্য তাদের পরিচর্যা করেন তখন তাঁরা একবারও বিরক্ত হন না। কিন্তু সেই ছেলেমেয়েকেই যদি কখনও বাবা-মায়ের পরিচর্যা করতে হয় তখন তাঁদের বিরক্তির শেষ থাকে না। তাঁরা জানেন না ছেলেমেয়েকে বিরক্ত করতে তাঁদের থেকেও বেশি বিরক্ত হয় তাঁদের বাবা মায়েরা।