বাসে-গাড়িতে উঠলেই বমি, কীভাবে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন ? জেনে রাখুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বেড়াতে বেরিয়ে কিন্তু আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই শুরু হয় অস্বস্তি ? গা-বমি, মাথা ঘোরানো সেই সঙ্গে গাড়ির সিটে কিছুতেই স্বস্তিতে বসে থাকতে পারছেন না ? একই সমস্যায় পড়েন বাসে উঠলেও ? পাহাড় তো বটেই, এমনকী সমতলেও গাড়িতে উঠলেই খানিকক্ষণ বসার পরই গা-গুলিয়ে ওঠে ? বাইরে বেরিয়ে অর্থাৎ বেড়াতে বেরিয়ে এই অসুস্থতা দূর করতে চিকিৎসকের কিছু কথা মেনে চলুন ৷ সমস্যা মিটে যাবে নিমেষে ৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর কলেজের সংক্রামক ও রোগ বিশেষজ্ঞ স্টেসি রোজ বলছেন, কিছু সতর্কতা, বুদ্ধি খাটাতে পারলে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে কোনওপ্রকার ভুগতে হবে না ৷ সেই সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে অসুস্থ হওয়ার কথা ভেবে ট্রিপ ক্যানসেলও করতে হবে না ৷ সর্বোপরি, আপনার ভ্রমণ হবে অ্যাডভেঞ্চারাস ৷ তাঁর কথায়, “বাড়ি থেকে দূরে যখনই বেরোবেন তখনই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন ৷ বাইরে বেরিয়ে অসুস্থ হলে আপনাকে সবথেকে বেশি সাহায্য করবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ৷ যে কোনও ট্রিপের আগে, আপনি প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখলে তা দরকারে খেয়ে নেবেন ৷”

  • তাঁর আরও সংযোজন, “গাড়িতে উঠলে বমি পাওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে যাত্রার আগে ভরপেট না খাওয়াই ভালো। হালকা খাবার খেয়ে গাড়ি কিংবা বাসে উঠুন। তবে একেবারে খালি পেটে নয়। প্রয়োজনে সঙ্গে বমির ওষুধও রাখতে পারেন ৷
  • শরীরে জলের অভাব ঘটলে বমি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই বলে গাড়িতে উঠে বমি পেলে ভুল করেও জল খেয়ে নেবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বমির সমস্যা থাকলে যাত্রাপথে মদ্যপান না করাই ভালো।
  • গাড়িতে উঠে শরীরে অস্বস্তি হয় ? সমস্যা দূর করতে গাড়িতে উঠেই হালকা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ুন। তা হলে আর সমস্যা হবে না। ঘুম না এলে কিছুক্ষণ শ্বাস ধরে রাখলে বমি ভাব কমে যেতে পারে। বমি পেলে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। চোখ বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ এই ভাবে থাকলে দেখবেন বমি বমি ভাবটা কেটে গিয়েছে।
  • পাশাপাশি, সানস্ক্রিন এবং পোকামাকড় প্রতিরোধকের মতো কিছু ক্রিম সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না ৷ কারণ মশা সংক্রামক রোগ বহন করতে পারে। তাই আগে দেখে ব্যবস্থা নিলে তা আপনার বেড়ানোকে বাধ সাধবে না ৷
  • অনেক সময় এসিতে বদ্ধ পরিবেশে থাকলেও বমি পেতে পারে। তাই লং ড্রাইভে এসি না-চালিয়ে বাইরের খোলা হাওয়া উপভোগ করুন। গাড়ির জানলার কাচ খোলা রাখুন।

বেলর কলেজের সংক্রামক ও রোগ বিশেষজ্ঞ স্টেসি রোজ আরও কিছু কথা পরামর্শ দিয়েছেন ৷ তা হল-দুই সপ্তাহের বেশি যদি ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে 30-70 শতাংশ মানুষই ডায়রিয়ার সম্মুখীন হন ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাবারে ব্যাকটেরিয়ার কারণে নোরোভাইরাস বা রোটাভাইরাস, অথবা গিয়ার্ডিয়া বা ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়ামের মতো পরজীবী শরীরে প্রবেশ করে ৷ তাই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমাতে হবে ৷ ব্যাকটেরিয়াজনিত ডায়রিয়া সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ভাইরালজনিত ডায়রিয়া থেকে ঘন ঘন বমি হতে শুরু করে ৷

তাঁর কথায়, “সকলকেই মনে রাখবেন, যে সমস্ত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ সংক্রমণ বা খাবারের সঙ্গে মেশানো বিষাক্ত পদার্থের কারণে হয় না। ছুটিতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের ফলেও পেট খারাপ হয় ৷ আপনি যখন ভ্রমণ করেন, তখন আপনি এমন খাবার খাচ্ছেন যা আপনার স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে এবং আপনার শরীরের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় তাই সেখান থেকে শরীরে অসুস্থার লক্ষণ দেখা দেয় ৷”

আরও একটি পরামর্শ দিয়েছেন, স্টেজি রোজ ৷ তিনি বলছেন, ভ্রমণকারীদের ডায়রিয়ার প্রতিরোধের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নজর রাখতে হবে ৷ তা-হল বারবার হাত ধুয়ে খাবার খাওয়া ৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। প্রতিবার খাওয়ার আগে হাত ধুলে ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশের চান্স কম ৷ সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়ানোর পর যখন হোটেলে ফিরে আসার সময় হাত ধুয়ে নিন। কখনও কখনও কোনও ব্যাকটেরিয়া যে শুধু খাবার থেকেই আসে তা নয়, হাতে বা মুখে হাত দিলেও তা শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে ৷

আরও পড়ুন:- রাজ্যে পুরোনো ও নতুন OBC সার্টিফিকেট সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা জারি, দেখে নিন

আরও পড়ুন:- বর্ষায় এই ৫ ফল খাবেন না, বিভিন্ন পেটের রোগ হতে পারে

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন