Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলের তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে নতুন রেসিপি। আর শুধুই ভাত ডাল নয়, এবার শিশুদের মিলবে জিরা রাইস, আলুর দম, ডিম কারি, এমনকি বিশেষ দিনে পায়েসও। এই নতুন পদক্ষেপ শিক্ষা ও পুষ্টির দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়াও অনেক সময়ে সরকারের তরফে মাংস ও মাছও দেওয়া হয়ে থাকে এবং অনেক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের তরফে খরচ করে খাওয়ানো হয়ে থাকে।
মিড ডে মিলের মেনুতে আসছে বৈচিত্র্য! রাজ্যে অভিনব পদক্ষেপ
মিড ডে মিলের মান উন্নয়নে আরও পুষ্টিকর ও বৈচিত্র্য ময় খাবার যোগ করা হবে এবং এর জন্য বর্ধমানের ১০ টি স্কুলের রাধুনিরা এক শিবিরে এসেছে, সেখানে তাদের সবজি কাটা, ধোঁয়া, মাথা ঢাকার টুপি, গ্লাভস ও কীভাবে ভালো খাবার রান্না করা যায় সেই সব শেখানো হচ্ছে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর একই খাবার পাল্টানোর জন্য কিছু নতুন নতুন খাবার নিয়ে আসা হয়েছে।
PM Poshan Mid Day Meal
- জিরা রাইস ও আলুর দম
- ডিম কারি (সপ্তাহে একদিন)
- মুগ ডাল খিচুড়ি ও পায়েস (বিশেষ দিন বা অনুষ্ঠানে)
- এই বৈচিত্র্যময় খাবার শিশুদের মনযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে ইতিবাচক প্রভাব
মিড ডে মিলের মেনুতে পরিবর্তনের প্রভাব ইতি মধ্যেই কিছু স্কুলে দেখা যাচ্ছে। নতুন খাবারের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়ছে, যার ফলে স্কুলে উপস্থিতির হারও বাড়ছে, বিশেষ করে বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পরিবারে শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা কঠিন, সেখানে মিড ডে মিল একটি ভরসা। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন এক ঘেয়ে খাবারের পরিবর্তে বৈচিত্র্যময় ও সুস্বাদু খাবার দিলে শিশুদের খাওয়ার আগ্রহ বাড়ে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয়।
বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি, ডাল, চাল, ডিম এবং দুধ জাতীয় খাবার শিশুদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে মিড ডে মিলের নতুন তালিকা শুধু স্বাদই নয়, স্বাস্থ্যও নিশ্চিত করছে। নতুন মিড ডে মিল মেনুতে রাজ্য সরকার কিছু নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে বিশেষ মেনু চালু করতে চলেছে। যেমন – সোমবার ও বৃহস্পতিবার : জিরা রাইস ও আলুর দম, মঙ্গলবার : সাদা ভাত, ডাল ও সবজি, শুক্রবার : খিচুড়ি ও পায়েস, সপ্তাহে একদিন : ডিম কারি।
সরকার কিছু দিন আগে মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করেছে। এতে রান্নার উপকরণ ও রন্ধন প্রণালীতেও উন্নতি আনা সম্ভব হচ্ছে। নতুন পদ যুক্ত করতে গিয়ে সরকার স্থানীয় বাজারের উপরও নজর রাখছে যাতে খাবারের গুণমান বজায় থাকে। এই পরিবর্তনে খুশি শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। অনেক অভিভাবক বলছেন, আগে ছেলে স্কুলে না যেতে চাইত, এখন মেনুর কথা শুনে আগ্রহ বেড়েছে।
শিক্ষকরাও বলছেন, খাবারের বৈচিত্র্য পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করছে। এই উদ্যোগের ফলে শুধু পুষ্টি নয়, শিক্ষা ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। মিড ডে মিল যদি এমনভাবেই উন্নত হয়, তবে আগামী দিনে শিশুরা শুধু সুস্থই নয়, শিক্ষার ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকবে। কিন্তু এই সুবিধা কিছু স্কুলের তরফে নিজেদের থেকে করা হচ্ছে। সমগ্র রাজ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবারে দেখার অপেক্ষা যে সারা রাজ্যে কবে এই ব্যবস্থা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:- সোমবার থেকে ৩০ দিন বন্ধ মা উড়ালপুল, কোন পথে গাড়ি চলবে? জেনে নিন