রান্নার পোড়া তেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিমানের জ্বালানি, ইন্ডিয়ান অয়েলের দারুন পদক্ষেপ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রেস্তোরাঁ, হোটেল-সহ অনেক গৃহস্থের হেঁসেলেও ভাজাভুজির পর ফেলে দেওয়া হয় পোড়া তেল। ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া এই তেল থেকেই বিমানের জ্বালানি তৈরি করছে ইন্ডিয়ান অয়েল। ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে সাসটেনেবল অ্যাভিয়েশন ফুয়েল (SAF) তৈরির বিষয়টি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান অয়েলের চেয়ারম্যান অরবিন্দর সাহানি।

হরিয়ানার পানিপত রিফাইনারিতে ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে সাসটেনেবল অ্যাভিয়েশন ফুয়েল তৈরি করছে ইন্ডিয়ান অয়েল। ইতিমধ্যেই এই ফুয়েল ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজ়েশন (ICAO) থেকে ISCC (International Sustainability and Carbon Certification) সার্টিফিকেট পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান অয়েলের চেয়ারম্যান। জ্বালানি থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যেই এই ধরনের জ্বালানি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল।

সাধারণত বিমানের জ্বালানি হিসাবে গোটা বিশ্বেই ব্যবহৃত হয় অ্যাভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (ATF)। যা জেট ফুয়েল হিসেবেও পরিচিত। এটি এক ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য। তবে সাসটেনেবল অ্যাভিয়েশন ফুয়েল (SAF) তৈরি হয় নন-পেট্রোলিয়াম ফিডস্টক থেকে। এটিএফ-এর সঙ্গে এই ধরনের জ্বালানি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মেশানো যায়। এটিএফ-এর সঙ্গে ১ শতাংশ এসএএফ মিশিয়ে ২০২৭ সাল থেকে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে বিক্রি করতে পারবে ভারত। তার পরের বছর থেকে এসএএফ ২ শতাংশ করে মেশানো হবে।

ইন্ডিয়ার অয়েলের তরফে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, কনফেকশনারি কোম্পানির থেকে ব্যবহৃত রান্নার তেল সংগ্রহ করে ইন্ডিয়ান অয়েল। হলদিরামের মতো একাধিক সংস্থার থেকে এজেন্সির মাধ্যমে তা সংগ্রহ করা হয়। তার পর তা থেকে পানিপত রিফাইনারিতে বিমানের জ্বালানি তৈরি করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। অবশেষে তাতে মিলল আন্তর্জাতিক স্তরের স্বীকৃতি।

সাসটেনেবল অ্যাভিয়েশন ফুয়েলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে ইন্ডিয়াল অয়েলের চেয়ারম্যান অরবিন্দর সাহানি বলেছেন, ‘আমরা দেশের প্রথম সংস্থা হিসাবে এই স্বীকৃতি পেয়েছি। এ বছরের মধ্যে ৩৫ হাজার টন এসএএফ তৈরি করা হবে আমাদের রিফাইনারিতে।’ ভবিষ্যতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। রান্নার পোড়া তেল জোগাড়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এই ধরনের তেল প্রচুর মিলবে। কিন্তু তা জোগাড় করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। বড় হোটেল বা কোম্পানির থেকে তা সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু গৃহস্থালী এবং ছোট সংস্থার থেকে তা জোগাড় করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।’

প্রসঙ্গত, স্পাইসজেট এবং ইন্ডিগোর মতো দেশের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স সংস্থা ইতিমধ্যেই এটিএফ-এর সঙ্গে এসএএফ মিশিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে উড়ান চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসার পর এই উদ্যোগ আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন