Bangla News Dunia, Pallab : বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।’ সোমবার চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। যোগ্য শিক্ষকদের সমর্থনে আইনি লড়াই হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল, রাকেশ দ্বিবেদী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত ভূষণ রাজ্য সরকারের হয়ে যোগ্যদের সমর্থনে আইনি লড়াই চালাবেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছেও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানান মমতা।
আরও পড়ুন : কোন রাশির জন্য কোন রঙ পরা শুভ? জেনে নিন
তাঁর কথায়, ‘আদালতের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইব। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে, যাঁরা স্কুলে পড়াতেন, তাঁদের জন্য আদালতের ব্যাখ্যা কী? স্কুল কে চালাবেন? বাকি কাজ কে চালাবেন? কাউকে না খাইয়ে মারার অধিকার তো কারও নেই। চাকরি দিতে পারবেন না, আমার অনুরোধ তাঁরা যেন চাকরি কেড়ে না নেন। শিক্ষা দপ্তর যা করার করবে।’ মমতা আরও বলেন, ‘যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কোনও রাখঢাক নেই। আইন অনুযায়ী যা করার করব। পথের মধ্যেই পথ খুঁজে নিতে হবে।’ চাকরিহারাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘আপনারা কি এখনও বরখাস্তের নোটিশ পেয়েছেন? চাকরি করুন না। স্বেচ্ছায় সকলেই কাজ করতে পারেন।’
পাশাপাশি এদিন বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘আমরা দু’মাসের মধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থা করে দেব। যোগ্যদের কারও চাকরি বাতিল হবে না। মানবিকতার খাতিরে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের হাতে যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা তুলে দিক। ব্যাখ্যা দিক। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।’ মমতা বলেন, ‘আগে যোগ্যদের বিষয়টি মিটে যাক। তারপর যাদের ‘অযোগ্য’ বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। আবার আপনাদের ডাকব। সত্যি যদি তাঁরা ‘অযোগ্য’ বলে প্রমাণিত হন, আমার তখন কিছু করার থাকবে না। কিন্তু কাকে কেন অযোগ্য বলা হয়েছে, কে তদন্ত করেছে, আলাদা করে সেটা দেখতে হবে। আলাদা করে সেটা নিয়ে আমি কথা বলব। সকলে নিশ্চিন্তে থাকুন। যোগ্য-অযোগ্যের মধ্যে গোলমাল লাগাবেন না।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, এসএসসি’র (SSC) সেইসব প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম রায়ে বৃহস্পতিবার চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী।