Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বিজেপির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পছন্দ করেন না। এমনই দাবি তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ আদালতের রক্ষাকবচের কারণে বিজেপি বিধায়ক গ্রেফতার হচ্ছেন না বলেও মনে করেন কল্যাণ ৷ পাশাপাশি তিনি মনে করেন, আর মাত্র এক বছর বিধায়ক থাকবেন শুভেন্দু।
শুক্রবার দোলের দিন হুগলির শ্রীরামপুরে বসন্ত উৎসবে যোগ দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ৷ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে দোল খেলেন তিনি ৷ শ্রীরামপুর শহরে বিভিন্ন জায়গায় পরিভ্রমণও করেন সাংসদ ৷
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বলেন, “প্রচারের আলোয় থাকতে চান কি না জানি না, উনি (শুভেন্দু অধিকারী) সব সময় নেগেটিভ পলিটিক্স করতে ভালোবাসেন ৷ একটা ধর্মের মানুষকে আরেকটা ধর্মের বিরুদ্ধে খেপিয়ে দেন ৷ বিজেপির মধ্যে অনেক রকম লড়াই আছে ৷ কে সভাপতি হবে তার লড়াই আছে ৷ উনি আরএসএস-এর কাছে একটু বড় নেতা হতে চাইছেন ৷ কিন্তু দিল্লি বিজেপির অনেক বড় বড় নেতারা শুভেন্দুকে পছন্দ করছেন না ৷”
আরও পড়ুন:- মোবাইল গেমে মেতে সন্তান ! ওদিকে বাবা-মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল 25 লাখ, বিস্তারিত জানুন
বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের কল্যাণ বলেন, “হাইকোর্টের আশীর্বাদ আছে বলেই শুভেন্দু অধিকারী ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর বড় বড় কথা বলছেন ৷ না হলে ওঁর জেলখানাতে থাকার কথা ছিল ৷ এভাবে কথা বলে বাংলায় কখনও নেতা হওয়া যায় না ৷ যে মানুষ প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে সম্মান করতে পারে, প্রত্যেক জাতির মানুষকে সম্মান করতে পারে, সেই নেতা হতে পারে ৷ রাজনীতিতে এসে যাঁরা ভেদাভেদ করেন, তাঁরা রাজনীতিতে থাকার যোগ্য নয় ৷”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সংবিধানকে আগে জানতে হবে ৷ সংবিধান পুরোটা না জানলেও তার স্পিরিটটাকে জানতে হবে ৷ যে জানে না সে আবার কীসের রাজনৈতিক নেতা ? তবে আপনাদের মাধ্যমে বলে দিচ্ছি, নন্দীগ্রামে এবার ওঁকে হারিয়ে ছাড়ব ৷ বিধায়ক হিসাবে ওঁর মেয়াদ আর এক বছর ৷ তারপর রাস্তায় ঘুরে বেড়াবেন ৷”
আরও পড়ুন:- স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় হাসপাতাল পরিষেবা না-দিলে কী করবেন ? জানালেন চন্দ্রিমা
আরও পড়ুন:- গ্রীষ্মে প্রচুর পরিমাণে লেবু খান, এই রোগগুলি ছুঁতেও পারবে না