Bangla News Dunia, Pallab : দেশের সেরা ‘পর্যটন গ্রাম’ তথা সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী। এখানেই কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে মহাযজ্ঞ চলার পরে এদিন সকাল থেকে প্রসাদ বিতরণ তথা মেলার দেখভালের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে এগিয়ে এলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আমিরুল হোসেন, সিরাজুল ইসলামেরা। সারা দিন হোম যজ্ঞ, ভক্তদের মাঝে ভোগ বিতরণ করা হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নিশিপুজার অপেক্ষায় প্রহর গুনতে দেখা যায় ভক্ত বৃন্দদের।
প্রসঙ্গত, ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে কয়েক কিমি দূরেই অবস্থিত কিরীটেশ্বরী মন্দির। একান্ন পীঠের এক পীঠ এই কিরীটেশ্বরী। সতীর করটি কনা এখানে পড়েছিল বলে এই মন্দিরকে কিরীটেশ্বরী বলা হয়। মন্দিরের বিস্তৃত মাঠে রাতভর চলে বাউল গানের আসর। আবার এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক গান, কবি গানের দল উপস্থিত হয়ে পালা করেন, বসেছে মেলাও। চলবে টানা বেশ কয়েকদিন।
এই বিষয়ে মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, “বড় মন্দিরের মায়ের, প্রতি অমাবস্যায় স্নানের পর নিশি পুজা করা হয়। অন্যদিকে ব্রহ্মশিলাকে ফুল ও ফল দিয়ে স্নান করানোর পর পুজা করা হয়।” এদিন মালদা থেকে এসেছিলেন অজয় ভক্ত, তনুশ্রী পালেরা। তাঁদের কথায়, ‘বছরে একাধিকবার মায়ের মন্দিরে আসি। এই মন্দিরকে ঘিরে জেলার ধর্মীয় সম্প্রতি গড়ে ওঠে।”
এদিকে এই মেলার দেখভাল করা থেকে মন্দিরের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য আমিরুল ইসলাম, সিরাজ হোসেনরা। এই ব্যাপারে মন্দির কমিটির সদস্যরা বলেন, “এই মন্দিরে সকলের সহযোগিতা আমাদের মুগ্ধ করে। বর্তমান সময়েও আমাদের মধ্যে কোনও শক্তি ভেদাভেদ তৈরি করতে পারেনি, এটাই মায়ের মহিমা এবং ঐতিহ্য।” অন্যদিকে আপ্লুত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকেরা বলেন, “আমরা ভক্তদের পরিষেবা দিতে পারছি এটা আমাদের কাছে চরম প্রাপ্তি। আগামী দিনেও এই সম্প্রীতির নজির বজায় থাকবে নিশ্চিত।”