স্বদেশী ২.০ : ভারতের অর্থনৈতিক জাগরণের নতুন অধ্যায় !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : প্রথমেই সকলকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বর্তমানে ভারত এক নতুন অর্থনৈতিক দিশার দিকে এগোচ্ছে, যাকে বলা হচ্ছে “স্বদেশী ২.০”। এর মূল লক্ষ্য ভারতকে শুধুমাত্র একটি উপভোক্তা বাজার থেকে বিশ্বের মঞ্চে একজন প্রধান উৎপাদক এবং উদ্ভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এই নতুন স্বদেশী আন্দোলন ভারতের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে, যা দেশের আত্মনির্ভরতার স্বপ্নকে এক নতুন মাত্রা দিচ্ছে।

আরও পড়ুন : সব জল্পনার অবসান ! বাংলায় হচ্ছে SIR

স্বদেশী আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

ভারতের স্বদেশী আন্দোলনের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া। এটি ছিল অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক অস্ত্র। স্বাধীনতার পর, ভারত আমদানি বিকল্প নীতি গ্রহণ করে, যেখানে বিদেশী পণ্যের উপর ভারী কর আরোপ করা হয়। কিন্তু প্রযুক্তি এবং দক্ষতার অভাবে এই নীতি ব্যর্থ হয় এবং ১৯৯১ সালে ভারতকে অর্থনৈতিক উদারীকরণের পথে হাঁটতে হয়। এর ফলস্বরূপ, ভারত বিদেশী পণ্যের জন্য একটি বড় বাজারে পরিণত হয়, কিন্তু দেশীয় উৎপাদন তেমনভাবে এগোতে পারেনি।

স্বদেশী ২.০: নতুন ধারণা

স্বদেশী ২.০ পুরনো ধারণা থেকে অনেকটাই আলাদা। এর মূল ভিত্তি হলো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে, বরং নিজের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা। এই নতুন নীতির প্রধান কয়েকটি দিক হলো:

  • উৎপাদন ও উদ্ভাবন: স্বদেশী ২.০-এর লক্ষ্য ভারতকে একটি প্রধান উৎপাদনকারী এবং উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তোলা।
  • আত্মনির্ভরতা: উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, ভোগ্যপণ্য এবং পরিকাঠামোতে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলা।
  • বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে অংশগ্রহণ: বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখা।
  • “ভোকাল ফর লোকাল”: “ভোকাল ফর লোকাল”-এর মতো প্রচারের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যকে সমর্থন করা।

আরও পড়ুন : আধার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমানের ডকুমেন্টস নয় – জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন