Bangla News Dunia, Pallab : নির্দিষ্ট একটি অসুখের চিকিৎসায় ‘আরও ভালো’ ফল পেতে একটির বদলে দুই বা ততোধিক ওষুধের নির্দিষ্ট ডোজ়ের কম্বিনেশন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক ক্ষেত্রেই কম্বিনেশনগুলো ওষুধ বিজ্ঞানের আদর্শ বিধি মেনে বানানো হয় না। ফলে তার নানা পার্শ্ব ও বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে। হিতে বিপরীত হয় পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন : জয় বাংলা পেনশন স্কিমে মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন । কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন
এমনই অন্যায্য ও অযৌক্তিক ৩৫টি ফিক্সড ডোজ় কম্বিনেশন (এফডিসি)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) রাজীব সিং রঘুবংশী। এর ফলে আগামী দিনে ওই কম্বিনেশনগুলি আর উৎপাদন, রপ্তানি, বণ্টন ও বিক্রি করা যাবে না।
আরও পড়ুন : পাক-অধিকৃত কাশ্মীর শীঘ্রই ফিরছে ভারতের হাতে? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
কাশির চিকিৎসায় দেদার ব্যবহৃত হয় ফিনাইল–এফ্রিনের সঙ্গি ডেক্সট্রোমিথর্ফিন কিংবা ডাইফেনহাইড্রামিন কম্বিনেশন। ডায়াবিটিসের চিকিৎসায় জনপ্রিয় কম্বিনেশন হলো মেটফর্মিন প্লাস ডাপাগ্লিফ্লোজ়িন কিংবা গ্লিমেপিরাইড। কোলেস্টেরলের চিকিৎসায় আবার হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ হলো রোসুভাস্ট্যাটিন প্লাস ক্লোপিডোগ্রিল প্লাস অ্যাসপিরিন কম্বিনেশন।
পেট খারাপ হলে তো সাধারণ মানুষও ওষুধের দোকান থেকে দেদার কিনে খায় নরফ্লক্সাসিন প্লাস মেট্রোনিডাজ়োল কিংবা ওফ্লক্সাসিন প্লাস অর্নিডাজ়োল কম্বিনেশন। উচ্চাঙ্গের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও মেরোপেনেম প্লাস অ্যাভিব্যাকটাম কম্বিনেশন ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। এ রকমই রয়েছে আরও খান ত্রিশেক কম্বিনেশন, যেগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।