Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতে জাল নোট চক্র ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাল নোট পাওয়া যায় ৫০০ টাকার নোটে। তাই RBI (Reserve Bank of India) সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে, যাতে আসল ও নকল নোট চেনা সহজ হয়। নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হলো কীভাবে আপনি ঘরে বসেই সহজে ৫০০ টাকার জাল নোট চিহ্নিত করতে পারবেন, না জানলে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি!
৫০০ টাকার জাল নোট!
আসল ৫০০ টাকার নোটের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে অন্যতম হল – নোটটি ধূসর রঙের এবং এর সামনে মহাত্মা গান্ধীর ছবি রয়েছে, নোটের পিছনে দেওয়া রয়েছে রেড ফোর্টের ছবি, RBI, ভারত সরকার এবং মহাত্মা গান্ধীর ছবির নিচে ইংরেজি ও হিন্দিতে লেখা থাকে, নোটের উপরের অংশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি লেখা থাকে।
মহাত্মা গান্ধী সিরিজ ২০১৬ অনুযায়ী নিরাপত্তা চিহ্ন
- Hologram এবং Watermark
- নোটটি আলোয় ধরলে মহাত্মা গান্ধীর মুখ এবং ৫০০ লেখা ওয়াটারমার্ক হিসেবে দেখা যায়
- নোটের বামদিকে নিরাপত্তা সুতো (Security Thread) থাকে, যাতে লেখা থাকে “भारत” ও “RBI”
৫০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়
নোটের ডান দিকে থাকা সিরিয়াল নম্বর (Serial Number) একটু বাকা কোণে থাকে। আসল নোটে এই নম্বর সুষম দূরত্বে ও একটি নির্দিষ্ট ফন্টে লেখা থাকে, নোটের ডান দিকের নিচে বড় করে লেখা “৫০০” সংখ্যাটি রং পরিবর্তনকারী কালি দিয়ে তৈরি, আলো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয়, রিজার্ভ ব্যাংক অনুযায়ী, নোটে এমন কিছু অংশ থাকে যা অন্ধ বা দুর্বল দৃষ্টি শক্তির মানুষ স্পর্শ করে চেনার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। Mahatma Gandhi-র প্রতিকৃতি, Ashoka Pillar Emblem, Identification Mark, Raised Printing.
জাল নোট ধরার অন্যতম উপায় হল UV light (আল্ট্রাভায়োলেট আলো) ব্যবহার করা। আসল নোটে কিছু ফ্লোরেসেন্ট ইঙ্ক থাকে যা UV আলোয় চমকে ওঠে। Security Thread আলোকিত হয়, আরবিআই ও ৫০০ সংখ্যাটি দেখা যায়, Gandhi watermark স্পষ্ট হয়। আর এই কটা জিনিসের মাধ্যমে না জানতে পারলে ব্যাংকে গিয়ে আপনারা জেনে নিতে পারবেন নোট আসল না নকল বা চাইলে পালটিয়েও নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন:- আলু ১০৫ টাকা, চাল ৩৪০ টাকা, ভারতের চালে পাকিস্তানের বাজারে আগুন