Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- অপ্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার পিছনে কিছু মুষ্টিমেয় ভারতীয় খরচ করে থাকেন। আসলে এ ধরনের খরচের মতো অতিরিক্ত অর্থ খুব কম সংখ্যক জনসংখ্যার কাছে আছে বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা ব্লুম ভেঞ্চার্স।
১৪৩ কোটির এই দেশে ভোগব্যয়ে খরচ করে এমন জনসংখ্যার মাত্র ১৩-১৪ কোটির কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজন ছাড়াও অন্যান্য, তেমন একটা প্রয়োজন নেই এমন পণ্য ও পরিষেবার পিছনে খরচ করার মতো উদ্বৃত্ত অর্থ রয়েছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভারতের জাতীয় বৃদ্ধির হার ক্রেতাদের খরচের উপর খুব বেশি রকমের নির্ভরশীল। ভোগব্যয়ের পিছনে খরচ করে এমন জনসংখ্যা মেরেকেটে ১৪ কোটির মতো। দেশের স্টার্টআপ সংস্থাগুলির বাজার কার্যত এঁদের উপরেই নির্ভরশীল। এর পাশাপাশি প্রায় ৩০ কোটির মতো মানুষকে ‘ইমারজিং’ বা ‘অ্যাসপির্যান্ট’ শ্রেণির আওতায় রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ, এঁদের মধ্যে খরচ করার বা একটু বিলাসবহুল জীবনযাপনের ইচ্ছে রয়েছে। এই শ্রেণির মানুষরা অনেক বেশি খরচ করা শুরু করেছে। এর একটা বড় কৃতিত্ব অবশ্য ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধার। খরচ করলেও ‘ইমারজিং’ শ্রেণির ক্রেতারা কিছুটা সতর্কও বটে। এ ধরনের ক্রেতারা প্রচুর কেনাকাটা করলেও তার দাম মেটানোর ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখিয়ে থাকেন বলে রিপোর্টে জানিয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থাটি।
আরও পড়ুন:- শুধুমাত্র ইন্টারভিউর মাধ্যমে ভারতীয় রেলে কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ওটিটি/মিডিয়া, গেমিং, এডটেক এবং ঋণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির কাছে এই ইমারজিং শ্রেণির ক্রেতাদের গুরুত্ব রয়েছে। ছোট অঙ্কের খরচ এবং লেনদেনের সুযোগ করে দিয়েছে ইউপিআই এবং অটোপে-র মতো ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা।’
দেশের প্রায় ১০০ কোটি মানুষের কাছে অবশ্য এ ধরনের ‘অপ্রয়োজনীয়’ খরচ করার মতো আয় নেই বলেই রিপোর্টে দাবি করেছে ব্লুম ভেঞ্চার্স। এখন পর্যন্ত স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির কাছে এঁদের গুরুত্ব তৈরি হয়নি বললেই চলে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভারতের কনজ়িউমার মার্কেট বা ক্রেতা বাজারের বিস্তার না হলেও তার গভীরতা বাড়ছে। এর অর্থ, দেশে নতুন ধনী ব্যক্তির সংখ্যা তেমন উল্লেখযোগ্য না বাড়লেও যাঁরা ইতিমধ্যেই ধনী, তাঁরা আরও ধনীতে পরিণত হচ্ছেন বলে ব্লুম ভেঞ্চার্স-এর দাবি।
এই বদল ব্যবসার ধারা আমূল বদলে দিচ্ছে। বিশেষ করে দামি বা প্রিমিয়াম পণ্য বিক্রির উপর সংস্থাগুলি বিশেষ জোর দিতে শুরু করেছে। মাস মার্কেট গুডস-এর বদলে ধনী ব্যক্তিদের জন্য আরও দামি পণ্য বিক্রিতে নজর দিচ্ছে তারা। বিলাসবহুল আবাসন এবং দামি স্মার্টফোন বিক্রির বাড়বাড়ন্ত তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পাঁচ বছর আগেও দেশের আবাসন বাজারের ৪০ শতাংশ অ্যাফর্ডেবল হাউজ়িং-এর দখলে থাকলেও এখন তা কমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রথম ১০ শতাংশ মানুষের কাছে জাতীয় আয়ের ৫৭.৭ শতাংশ রয়েছে। যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, নিচের দিকের মানুষদের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ জাতীয় আয়ের ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা আগে ২২.২ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন:- যক্ষ্মা বহু বছর ধরে একটি গুরুতর সমস্যা, এই রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জেনে নিন
আরও পড়ুন:- জোয়ার-ভাটায় কি সত্যিই বাতের ব্যথা বাড়ে? জানুন বিজ্ঞান কি বলছে