অবশেষে মিলল স্বস্তি। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) SLST মামলায় এক ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন ২০১৬ সালে নিযুক্ত এবং কর্মরত শিক্ষকরা, যারা ৪৫% নম্বর নিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু নতুন নিয়মের জেরে ২০২৫ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছিলেন না। এই রায়টি কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, বরং হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কী ছিল মূল মামলা?
মামলার সূত্রপাত হয় NCTE (National Council for Teacher Education) -এর একটি নতুন নির্দেশিকা ঘিরে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ফলে, ২০১৬ সালের SLST-এর মাধ্যমে যারা ৪৫% নম্বর নিয়ে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তারা ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন করতে পারছিলেন না। কর্মে নিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও, ভবিষ্যতের পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন তারা। এই নিয়েই মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় এবং চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় আসে।
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়
সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। আসুন, রায়ের মূল বিষয়গুলি দেখে নেওয়া যাক:
- বিশেষ আবেদন উইন্ডো: আদালত SSC-কে নির্দেশ দিয়েছে যে, এই “untainted candidates” (২০১৬-র নিযুক্ত শিক্ষকরা) দের জন্য এক সপ্তাহের একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো খুলতে হবে।
- ৫০% নিয়মের ছাড়: সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর হলো, এই আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে NCTE-এর ৫০% নম্বরের নিয়ম কার্যকর হবে না। তারা তাদের পুরনো যোগ্যতা, অর্থাৎ ৪৫% নম্বর নিয়েই নতুন পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- পরীক্ষার সময়সূচি: মামলাকারীরা সময় স্বল্পতা এবং উৎসবের মরসুমের কারণ দেখিয়ে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। যদিও আদালত সরাসরি পরীক্ষার দিনক্ষণ বদলের কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবে বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রয়োজন মনে করলে SSC পরীক্ষার সূচিতে সামান্য পরিবর্তন আনতে পারে।