Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- শাস্ত্র মতে, সূর্যদেব যেই সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয় অর্থাৎ পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন। এই উৎসব ঘিরে যেমন ধার্মিক বিশ্বাস রয়েছে, তেমনই জড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতিকে আরাধনার বিষয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। তিনদিন এটি পালন করা হয়।
শাস্ত্র অনুসারে, অম্বুবাচীর তিন দিন যেকোনও মাঙ্গলিক কার্য বা শুভ কর্ম, যেমন – বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, উপনয়ন, ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজও এই সময় বন্ধ থাকে। জমিতে কোনও রকম খোঁড়াখুড়ি থেকে বিরত থাকা হয়। তবে চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। অম্বুবাচীর সময় মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার ও পুজো করা হয় না।
২০২১ সালের অম্বুবাচীর তারিখ ও শুভক্ষণ
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা ——–
অম্বুবাচী শুরু – বাংলা ক্যালন্ডার অনুযায়ী ৭ আষাঢ়, মঙ্গলবার।
ইংরেজি মতে ২২ জুন, সকাল ৫টা ৩৯ মিনিট থেকে।
অম্বুবাচী শেষ – বাংলার ১০ আষাঢ়, শুক্রবার।
ইংরেজি মতে ২৫ জুন, বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা ——
অম্বুবাচী শুরু – বাংলার ৭ আষাঢ়, মঙ্গলবার।
ইংরেজির ২২ জুন, রাত ২টো ০৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।
অম্বুবাচী শেষ – বাংলা ১০ আষাঢ়, শুক্রবার।
ইংরেজির ২৫ জুন, রাত ২টো ২৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে।
অসমের কামাখ্যা দেবীর মন্দির এটি ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম। এই স্থানে দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল। অম্বুবাচী যোগে লাখ ভক্ত কামাখ্যা মন্দিরের চতুর্দিকে বসে কীর্ত্তন করেন।
” আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল “