Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে কোর্টে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে ব্যারাকপুর আদালতে যায় পুলিশ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এ কথা খোদ অর্জুনই এ কথা জানান। জগদ্দলে গুলি কাণ্ডে প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আহত ব্যক্তি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত।
জগদ্দলে বোমা-গুলি কাণ্ডে অশান্তির কারণে প্রাক্তন সাংসদ তিনবার নোটিস দিয়েছিল পুলিশ। তবে একবারও তিনি হাজিরা দেননি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, জানিয়েছেন খোদ অর্জুনই। তাঁর দাবি, ব্যারাকপুর এসিজেএম আদালত এই পরোয়ানা জারি করেছে।
অর্জুনের আরও বলেন, ‘‘আমি সকালে হাইকোর্টে মামলা করেছি। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করেছিল। ওই এফআইআর ভুয়ো। তা ছাড়া এই কোর্টের ওপর আমার ভরসা ছিল না। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি। আইনি লড়াইয়ের জন্য আমি প্রস্তুত।’’
আরও পড়ুন:- ভারতেও ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করলেন IIT কানপুরের গবেষক
গত ২৬ মার্চ জগদ্দলে অর্জুনের বাড়ির কাছে গুলি চলে। আহত হন এক তৃণমূলকর্মী। আক্রান্ত সাদ্দাম নামে ওই যুবককে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তি তৃণমূলকর্মী বলে জানা যায়। অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমা-গুলি চলে। অর্জুনের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ আনেন আক্রান্ত তৃণমূলকর্মীরা। থানায় ডেকে ২ দিনে অর্জুনকে ৫ বার নোটিস পাঠায়। থানায় না গেলে বাড়িতেও পুলিশ যায়। এরপরেই পুলিশি হেনস্থার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অর্জুন।
অর্জুন শুরুতেই অভিযোগ করেন, প্রশাসন খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ কাজ করত তবে এরকম ঘটনা ঘটত না। তার মতে মুসলিম সমাজের বোঝা উচিত- তারা আগুনে ঘি ঢালছে- কেউ তাদের বাঁচাতে আসবে না।
গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অর্জুন। তিনি দাবি করেছিলেন, মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে জেলের মধ্যে খুনও করা হতে পারে তাঁকে। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে পুলিশের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়েছিল। পরে অর্জুন নিজেই জানান, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন:- যে সংস্থায় কাজ করেন তার বাথরুম ভাড়া নিলেন তরুণী, কেন? জানলে চমকে যাবেন