Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- অষ্টম পে-কমিশন 2026 সালের 1 জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি অষ্টম পে-কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, যার কারণে প্রায় 50 লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং 65 লক্ষ পেনশনভোগী তাদের বেতন এবং পেনশন বৃদ্ধির আশা করছেন। এই কমিশনের অধীনে বেতন বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হবে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর, যা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণক হিসেবে কাজ করে।
অষ্টম পে-কমিশনের সূত্র:
প্রকৃতপক্ষে, যে কোনও পে-কমিশনে বেতন এবং পেনশন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। এটি একটি গুণক যা কর্মীদের বর্তমান মূল বেতন (বেসিক পে) বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। সপ্তম পে-কমিশনে এই ফ্যাক্টর ছিল 2.57, যার কারণে কর্মচারীদের বেতন গড়ে 23.55 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অষ্টম পে-কমিশনে এই ফ্যাক্টরটি 2.28 থেকে 2.86 এর মধ্যে রাখা যেতে পারে ৷ এর ফলে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীরা 20 শতাংশ থেকে 50 শতাংশ বেতন বৃদ্ধির আশা করতে পারেন। যেমন, যদি কারও বর্তমান মূল বেতন (বেসিক পে) 18,000 টাকা হয় এবং ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর 2.86 হয়, তাহলে সংশোধিত মূল বেতন (বেসিক পে) হবে 51,480 টাকা।
আরও পড়ুন:- কলকাতার সব জলাশয় নিয়ে দারুন সিদ্ধান্ত পুরনিগমের, বিস্তারিত জানুন
অষ্টম পে-কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়:
অষ্টম পে-কমিশনের সুপারিশগুলি 1 জানুয়ারি, 2026 থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। প্রায় 50 লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং 65 লক্ষ পেনশনভোগী এর সুবিধাভোগী হবেন। অষ্টম পে-কমিশনে বেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাতা যেমন ডিএ, এইচআরএ, টিএ, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদিও বাড়ানো হতে পারে।
অষ্টম পে-কমিশন কেন প্রয়োজনীয়?
অষ্টম পে-কমিশন গঠন সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের বেতন ও পেনশন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই কমিশন মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে বেতন কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি করবে, যাতে কর্মচারীরা তাদের কাজ অনুযায়ী যথাযথ পারিশ্রমিক পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:- ইন্টারভিউর মাধ্যমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে কর্মী নিয়োগ চলছে! দেখে নিন আবেদন পদ্ধতি
আরও পড়ুন:- কসবা কাণ্ডের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ, কি জানা গেলো ?