আইনি পরামর্শ নিয়েই ২২ লক্ষ ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশ, জানালেন ব্রাত্য

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- সুপ্রিম কোর্টের কলমের খোঁচায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষককর্মীর। গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। এরপর থেকেই উত্তাল গোটা রাজ্য। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পাশে থাকাএ আশ্বাস দিলেও আন্দোলন থেকে পিছপা হননি চাকরিহারারা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী প্রাত্য বসু।

আরও পড়ুন:- বদলে যাচ্ছে UPI পেমেন্টে টাকা লেনদেনের পদ্ধতি, বিস্তারিত জেনে নিন

এদিন প্রায় আড়াইঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে উঠে আসে একাধিক প্রসঙ্গ। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি পৃথকভাবে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা দিতে না পারায় পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দেয় আদালত। এদিনের বৈঠকে চাকরিহারাদের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ব্রাত্য বসুকে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “২২ লক্ষ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ রয়েছে। আমাদের সেটা প্রকাশ করতে আপত্তি নেই। যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিষয়াধীন তাই আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন:- কলকাতায় ভূমিকম্পের আশঙ্কা? পদে পদে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জানুন

মিরর ইমেজ থাকা সত্ত্বেও কেন যোগ্য অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের নামের তালিকা তৈরি করা গেল না? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এমন তথ্য ঠিক নয়। এটা বিরোধী দলের তৈরি করা ন্যারেটিভ। আপনারা তাতে পা দেবেন না। এসএসসির হার্ডডিস্ক হারিয়ে গেছে। তাই সিবিআইয়ের তরফ থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তা অতীতে তিনবার সুপ্রিমকোর্টে এসএসসি জমাও দিয়েছিল। আইনি পরামর্শ নিয়ে ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে।”

হার্ডডিস্ক হারাল কীভাবে? তাহলে এর দায় এড়াতে পারেন কি এসএসসির চেয়ারম্যান? এই প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু আড়াল করার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যানকে। এসএসসির এই হার্ডডিস্ক হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যানের কোনও দায় নেই। কারণ উনি ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন না।

আরও পড়ুন:- মাসে 31,000 টাকা বেতনে কলকাতা এয়ারপোর্টে নতুন কর্মী নিয়োগ। শীঘ্রই আবেদন করুন

এদিকে, আগামী ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী চাইছেন ওই মামলায় যেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কেউ বিরোধিতা না করেন। তিনি বলেন, “১৭ তারিখ কোর্টে শুনানি আছে। সেদিন কারা পর্ষদের বিরুদ্ধে লড়বে, সেটা সকলেই দেখতে পাবেন। তাতেই প্রমাণিত হবে কারা যোগ্যদের তালিকাও বাতিল করতে চাইছেন।”

তবে এতকিছুর পরেও সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘২৬ সালে জয় নিশ্চিত হয়ে আছে, বিরোধিরা খড়কুটোর মতো বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে চাকরিহারাদের নিয়ে রাজনীতি করে। বিরোধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভাত দেওয়ার নাম নেই কিল মারার গোঁসাই হবেন না, আপনারা আপনাদের রাজনীতি করুন! শেষ মুহূর্তে আমরা অক্সিজেন দিয়ে খড়কুটোর মতো ওদের হৃত মর্যাদা ফিরে পাওয়ানোর চেষ্টা করছি, তখন ওদের বিভ্রান্ত করে এই চেষ্টাকে আটকাবেন না।”

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন