Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাজারজুড়ে ছেয়ে রয়েছে সবুজ, কালো এবং লাল আঙুরে। বীজহীন এবং মিষ্টি ও রসালো এই ফলটি বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের প্রিয়। কিন্তু এই আঙুরই হয়ে উঠতে পারে বিষ। অবিলম্বে সতর্ক না হলে ঘোর বিপদ! আঙুরে প্রায়ই কীটনাশকের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাই শুধু জল দিয়ে ধুলে চলবে না। এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় না ধুলে শরীরে জেঁকে বসবে মারণ রোগ।
পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে আঙুর ফল রক্ষার জন্য কৃষকেরা কীটনাশক প্রয়োগ করে। এই কীটনাশক শুধুমাত্র জল দিয়ে ধুলে বেরোয় না।
কীটনাশক শরীরে প্রবেশের বিপদ কী?
– হজমের সমস্যা
– হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
– শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের উপর প্রভাব
– নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়
আরও পড়ুন:- ব্যাংক অফ বরোদাতে ৪০০০ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ চলছে! মাসিক বেতন ১৫,০০০/- টাকা, শীঘ্রই আবেদন করুন
সাধারণত, প্রবাহিত জলের নীচে আঙুর ধোওয়া তাদের উপর উপস্থিত ময়লা এবং দাগ দূর করে। কিন্তু ত্বকে শোষিত কীটনাশক এভাবে পরিষ্কার করা যায় না। আঙুর থেকে কীটনাশক অপসারণের এই সহজ পদ্ধতিগুলি চেষ্টা করতে পারেন।
১. নুন জলে ভিজিয়ে রাখা: ১ লিটার জলে ২ চা চামচ নুন মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য আঙুর ভিজিয়ে রাখুন। এর পর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি কীটনাশক এবং ওপরে থাকা মোমের স্তর অপসারণে সহায়ক।
২. বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করুন: ২ কাপ জলে ১ চা চামচ বেকিং সোডা, ১৫ মিনিটের জন্য আঙুর ভিজিয়ে রাখুন। পরে পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে বেকিং সোডা কার্যকরভাবে অনেক কীটনাশক অপসারণ করতে পারে। শুধু আঙুর নয়, এই পদ্ধতিতে অন্যান্য সবজি থেকেও কীটনাশক দূর করতে পারবেন।
৩. ভিনেগার জলে ভিজিয়ে রাখা: ১ শতাংশ ভিনেগার এবং ৩ শতাংশ জল মিশিয়ে তাতে আঙ্গুর ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন৷ পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার কীটনাশক অপসারণ এবং ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে।
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আঙুর হাড়ের জন্যও ভালো। ভিটামিন বি এবং কে এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই ফলটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করার পরে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন:- ভারতের ইউটিউব রাজধানী বলেই বিখ্যাত, কীভাবে মিলল এই তকমা ? জেনে নিন