উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হওয়ার একদিন পর মঙ্গলবারও উত্তপ্ত রইল পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK)। এদিন পাকিস্তানি বাহিনী বিক্ষোভকারীদের এগোতে বাধা দেওয়ার জন্য রাস্তায় কন্টেইনার দাঁড় করিয়ে রাখে। বিদ্রোহী বিক্ষোভকারীরা সেই বিশাল কন্টেইনার নদীতে ফেলে দেয়। সোমবার মৌলিক অধিকার অস্বীকারের প্রতিবাদে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (ACC) নেতৃত্বে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ চলাকালীন সংঘর্ষ শুরু হয়। বাজার, দোকানপাট এবং স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, পাশাপাশি পরিবহন পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হন এবং প্রায় ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবারও বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানি পুলিশদের উপর পাথর ছুঁড়ে তাদের যানবাহনকে পিছু হটতে বাধ্য করে, ভিডিওতে দেখা গেছে, লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের ৩৮ দফা দাবি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানে কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পাক অধিকৃত কাশ্মীর বিধানসভার ১২টি আসন বাতিল করা। স্থানীয়রা যুক্তি দিচ্ছেন, যে এই ধরনের কোটা প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
এএসি নেতা শওকত নওয়াজ মীর জানিয়েছেন, ‘৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের জনগণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। হয় অধিকার প্রদান করুন, নয়তো জনগণের ক্রোধের মুখোমুখি হোন।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি পূরণ না করলে তাঁরা যে সরকারকে কোনঠাসা করতে যেকোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলে স্পষ্ট করেন মীর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শহরগুলিতে ভারী সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে পাক সরকার। অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে, সমগ্র অঞ্চলে ইন্টারনেটের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভ কেবল মুজাফফরাবাদ বা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ নয়। বিদেশেও প্রতিরোধের কিছু ঝলক দেখা যাচ্ছে। ব্রিটিশ কাশ্মীরিরা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন, লন্ডনে পাকিস্তানি হাইকমিশন এবং ব্র্যাডফোর্ডে তাদের কনস্যুলেটের বাইরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারের কাছে তাঁদের উত্থাপিত ৩৮টি দাবি মেনে নিতে আর্জি জানিয়েছে।