Bangla News Dunia, Pallab : আন্তর্জাতিক স্তরে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত। রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিল আমেরিকা। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের নিন্দা এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর তরফে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এর বিরোধিতা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রস্তাবটি উত্থাপন করে খোদ যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এই প্রস্তাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা ছিল না। ওয়াশিংটন ও মস্কো এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই মিত্র-ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন : ভারতে চালু ৪ টি সরকারি কার্ড, না করলে বিপদে পড়বেন
সাধারণ সভায় মার্কিন কূটনীতিকরা ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত’ সম্পর্কে শোক প্রকাশ এবং দ্রুত যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। তার পালটা হিসেবে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা একটি আরও বিশদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যেখানে ইউক্রেন আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয় এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়। এতেই বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গুরুর মর্যাদা দিলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী, একনজরে দেখে নিন
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবের শিরোনাম ছিল, ‘অ্যাডভান্সিং অ্যা কমপ্রিহেন্সিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন’। ১৯৩ সদস্যের মধ্যে এর পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি, বিপক্ষে অর্থাৎ রাশিয়াকে সমর্থন করে ভোট দিয়েছে ১৮টি দেশ। ৬৫টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল। তার মধ্যে রয়েছে ভারত ও চিনও। আবার ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে রাষ্ট্রসংঘে যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল তা নিয়ে ভোটাভুটিতে মস্কোর পাশে দাঁড়ায় ওয়াশিংটন। আমেরিকা ছাড়া এই প্রস্তাবে মস্কোকে সমর্থন করেছে আরও ১৬টি দেশ।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে রাশিয়ার পক্ষে আমেরিকার অবস্থান নিয়েই বিশ্বজুড়ে চর্চা চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধবিষয়ক অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প।