আপনার সন্তান মোটা হয়ে যাচ্ছে, মা-বাবারা এই ভুলগুলো করছেন না তো ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এখন শিশুদের মধ্যে স্থূলতা একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব শিশুর ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের শিশু মনোবিজ্ঞানী এবং জীবন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুষমা গোপালন শিশুদের স্থূলতা রোধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

১. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করুন
শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল এবং শস্য রাখুন।
প্রক্রিয়াজাত ও টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে থাকা সংরক্ষণকারী রাসায়নিক শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে জল খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পরিবারের সাথে বসে খাওয়ার অভ্যাস করান এবং খাবার খাওয়ার সময় স্ক্রিন (মোবাইল/টিভি) থেকে দূরে রাখুন, যাতে শিশু খাবারে মনোযোগ দিতে পারে।

২. জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন
অনেক বাবা-মা শিশুদের আবদারে জাঙ্ক ফুড খেতে দেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
জাঙ্ক ফুডের প্রতি শিশুর আকর্ষণ কমাতে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করুন।
টিভি বা মোবাইলে ফাস্ট ফুডের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের প্রভাব থেকে শিশুকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন:- হঠাত্‍ সোনা ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে লোকে, কী ঘটবে?

৩. শারীরিক কার্যকলাপের প্রতি উৎসাহ দিন
শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাকে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত করা প্রয়োজন।

দৌড়ানো, লাফানো, সাইক্লিং, সাঁতার বা খেলার মাঠে খেলতে উৎসাহ দিন।
শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যান, এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৪. স্ক্রিন টাইম কমান
আজকাল শিশুদের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটে, যা স্থূলতার অন্যতম কারণ।
শিশুদের মোবাইল বা টিভি দেখার সময়সীমা নির্দিষ্ট করুন।
স্ক্রিন টাইম কমিয়ে বই পড়া, খেলাধুলা বা সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহী করে তুলুন।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুকে ঘুমাতে পাঠান।
ঘুমের ঘাটতি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, তাই ঘুমের রুটিন বজায় রাখুন।

৬. বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন
বাইরের খাবারের বদলে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রান্না করুন।

বেকিং বা গ্রিলিং-এর মাধ্যমে তেল কমিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি করুন।
শিশুকে রান্নার কাজে যুক্ত করুন, এতে তার স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

৭. মানসিক স্বাস্থ্যেও খেয়াল রাখুন
শিশুর মানসিক চাপ বা হতাশাও ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

তার অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হন।
প্রয়োজনে শিশু মনোবিদের পরামর্শ নিন।

৮. কৃত্রিম পানীয় এড়িয়ে চলুন
সফট ড্রিংকস বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় শিশুদের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।

শিশুদের ফলের রস বা স্বাভাবিক জল পান করতে উৎসাহিত করুন।
ফ্লেভার্ড মিল্ক বা প্যাকেটজাত পানীয়ের বদলে ঘরে তৈরি লস্যি, লেবুর শরবত দিন।
৯. ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুকে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক সময় ঘুমানো ও খাবারের রুটিন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এতে ভবিষ্যতে স্থূলতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

১০. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
যদি শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা ডায়েট ও শরীরচর্চার পরও ওজন বৃদ্ধি পায়, তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।শিশু পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট ও রুটিন নির্ধারণ করুন।

আরও পড়ুন:- ফাইন বাড়ল ট্র্যাফিকে, কোন আইন ভাঙলে কত জরিমানা? জেনে নিন

আরও পড়ুন:- টুপিতে ‘804’ নম্বর থাকার কারণে কড়া শাস্তির মুখে পাক ক্রিকেটার, জানুন এর পিছনে কারণ কি ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন