Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘আমি মেটাকে AI ট্রেনিংয়ে আমার ছবি-পোস্ট ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছি না,’ ফেসবুকে অনেকেই ইদানিং এই পোস্ট করছেন। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে? হুজুগে গা না ভাসিয়ে, আজ আসল বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। একই সঙ্গে জানা যাক, ফেসবুক পোস্ট দিয়ে AI মডেল ট্রেনিংয়ের প্রশ্নই বা আসছে কেন। এর সূত্রপাত গত ১৪ এপ্রিল ২০২৫। মেটা (Meta) তাদের একটি ব্লগ পোস্টে ঘোষণা করে যে, এখন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) প্রাপ্তবয়স্ক ইউজারদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য মেটা প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা পাবলিক পোস্ট ও কমেন্ট এআই (AI) মডেল ট্রেনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। মেটা এআই-কে করা প্রশ্ন এবং চ্যাটবক্সে AI-এর সঙ্গে যে কনভারসেশন হবে, সেগুলি ব্যবহার করেই এআই মডেল আরও উন্নত করা হবে। এর লক্ষ্য একটাই, ইউরোপের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বিষয়ে AI-এর ডেটাবেসে তথ্য জমা করা।
শুধু তাই নয়, মে মাসে ইউরোপের বিভিন্ন ইউজারদের কাছে ইন-অ্যাপ ও ইমেলের মাধ্যমে বিভিন্ন নোটিফিকেশন পাঠাতে শুরু করে মেটা। তাতে কী জন্য, কীভাবে ডেটা ব্যবহার করা হবে, তা জানানো হয়। তবে সেই ইমেলেই নিজের তথ্য এই ট্রেনিংয়ে ব্যবহার না করতে দেওয়ার জন্য অবজেকশন ফর্ম জমা দেওয়ার অপশন দেওয়া হয়েছে।
আপনার মেসেঞ্জারের চ্যাটও কি ইউজ হয়ে যাবে?
মেটা জানিয়েছে, বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত মেসেজ আগের মতোই সুরক্ষিত থাকবে। সেগুলি কোনও ভাবেই AI ট্রেনিংয়ে ব্যবহার করা হবে না। পাশাপাশি, ১৮ বছরের কম বয়সি ইউজারদের পাবলিক ডেটাও ব্যবহার করা হবে না।
ইউরোপের কড়া আইনের কারণেই কি…
সমালোচকরা বলছেন, ২০২৪ সালে মেটার এই কার্যকলাপ নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছিল। সেই সময় ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি আইনি নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত মেটা তাদের AI ট্রেনিং থামিয়ে রেখেছিল। কিন্তু পরে EDPB (European Data Protection Board)-এর অনুমোদনের পর ফের AI ট্রেনিং শুরু করে সংস্থা।
মেটার দাবি করে, গুগল ও ওপেনএআই (OpenAI)-ও ইতিমধ্যেই ইউরোপের মানুষের ডেটা ব্যবহার করে AI ট্রেন করছে। সেদিক দিয়ে তারা অনেক স্বচ্ছতার সঙ্গে, সবকিছু জানিয়ে, অনুমতি নিয়েই বিষয়টি করছে, দাবি করে সংস্থা।
‘আমি ডেটা ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছি না’ লিখে লাভ হবে?
সত্যি বলতে এভাবে পোস্ট করার মাধ্যমে লাভ হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার বদলে সত্যিই যদি প্রাইভেসি নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে এগুলি করতে পারেন,
-
ডেটা ডিলিট করে দিন: ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে যেসব ছবি, ভিডিও বা পোস্ট আপনি AI ট্রেনিংয়ে ব্যবহার করতে দিতে চান না, তা ডিলিট করে দিন।
-
প্রোফাইল প্রাইভেট করুন: সব পোস্ট ও ছবি প্রাইভেট করে দিন।
-
পরিবার-বন্ধুদেরও আপনার ছবি সরাতে বলুন: যদি কেউ আপনার ছবি পাবলিকলি পোস্ট করে, সেটাও AI ট্রেনিংয়ে ব্যবহার করা হতে পারে। ফলে তা না চাইলে তাঁদের আপনরা ছবি ডিলিট করে দিতে অনুরোধ করতেপারেন।
-
থার্ড পার্টি অ্যাপস নৈব নৈব চ: ফেসবুক দিয়ে অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপ, গেমের মতো থার্ড পার্টি প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করে রাখেন। সেগুলি ডিলিট করে দিন।
আরও পড়ুন:- ৮ আগস্টের মধ্যে KYC না করলেই ফ্রিজ হবে অ্যাকাউন্ট! সতর্ক করল এই ব্যাঙ্ক
আরও পড়ুন:- ডিম কীভাবে খেলে পুষ্টি সবচেয়ে বেশি পাবেন ? কি বলছেন পুষ্টিবিদরা জেনে নিন