আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী? জানালেন প্রাক্তন NAL ডেপুটি ডিরেক্টর

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বৃহস্পতিবার লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান 242 জন যাত্রী এবং ক্রু নিয়ে একটি মেডিকেল কলেজ কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়ায় কমপক্ষে 265 জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সাম্প্রতিককালে এটিই দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে ।

আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে এনএসজির একটি দল ৷ এখন এনএসজি বিজে মেডিকেল কলেজের আবাসিক কমপ্লেক্স থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 787 ড্রিমলাইনার বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরাতে সাহায্য করছে। আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন ন্যাশনাল এরোস্পেস ল্যাবরেটরিস (এনএএল) কর্তার অনুমান, বিমানে জ্বালানির সমস্যার ফলে ইঞ্জিনের কাজ ব্যাহত হয়ে থাকতে পারে৷

Saligram J Murlidhar

প্রাক্তন NAL ডেপুটি ডিরেক্টর শালিগ্রাম জে মুরলিধর (ছবি: এএনআই)

 

ন্যাশনাল এরোস্পেস ল্যাবরেটরিস (এনএএল)-এর ওই প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্তা শালিগ্রাম জে মুরলিধর বলেন, “আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। বিমানটি একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার। এটি সবচেয়ে অত্যাধুনিক বিমানগুলির মধ্যে একটি, যেখানে সমস্ত সুরক্ষা সতর্কতা, নেভিগেশন ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি প্রায় নিখুঁত।”

ওই এনএএল কর্তা বলেন, “প্রথমে তাদের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) খুঁজে বের করতে হবে। তাদের FDR থেকে মেমরি কার্ডটি বের করে সেটিকে উদ্ধার করতে হবে, যা পুনরায় চালানো যাবে এবং তারপর বিশ্লেষণ শুরু করার জন্য ডেটাটি একটি কম্পিউটারে ডাউনলোড করতে হবে। একইভাবে, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) থেকে ডেটা পাওয়ার পর কী কথোপকথন হয়েছে তা দেখার জন্য দুটিকে সিঙ্ক্রোনাইজ করার চেষ্টা করা হবে ৷ তারপরে এই দুর্ঘটনার মূল কারণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করা হবে।”

মুরলিধর বলেন, “যদি আমরা দুই ইঞ্জিনের ত্রুটির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখি, তাহলে এটি পাখির ধাক্কার কারণে হতে পারে না ৷ কারণ, যদি এটি পাখির ধাক্কার কারণে হয়, তাহলে আপনি এতে ফুলকি এবং ধোঁয়া পাবেন এবং উভয় ইঞ্জিন একই সঙ্গে পাখির ধাক্কার মুখে পড়বে না। বিমানটির উড়ানে বাধার অন্যতম কারণ হল জ্বালানি দূষণ। তাই যদি জ্বালানি দূষিত হয়ে থাকে, তাহলে উভয় ইঞ্জিনেই একইভাবে সমস্যা দেখা দেবে এবং বিমানটির উড়ানের হার বা গতি ধরে রাখতে পারবে না। “

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 787 ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনায় বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে একজন যাত্রী অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে গেলেও, নিহতদের মধ্যে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও রয়েছেন। বিমানের 11এ নম্বর আসনে বসে থাকা রমেশ অলৌকিকভাবে বেঁচেই শুধু জাননি, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরেও তিনি প্রায় অক্ষতই ছিলেন।

অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। AAIB দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে, গুজরাত সরকারের 40 জনেরও বেশি কর্মী ঘটনাস্থলে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দলকে সহায়তা করার চেষ্টায় যোগদান করেছেন। ব্ল্যাক বক্স, যা এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য বিশ্লেষণ করা হবে।

আরও পড়ুন:- আমরা সবাই জানি ফলের রাজা আম, কিন্তু ফলের রানী ? সেটা আবার কি ? কোথায় পাওয়া যায় ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন