Bangla News Dunia, Pallab : বর্তমান সময়টা এমন এক সময়, যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও প্লাস্টিক বর্জনের প্রতি মানুষের সচেতনতা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।এদিকে সরকারও একাধিক রাজ্যে ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে পেপার ব্যাগের চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব কীভাবে আপনি স্বল্প পুঁজিতে একটি লাভজনক, পরিবেশবান্ধব ও সরকারি লোন নিয়ে পেপার ব্যাগ ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে কবে থেকে শুরু SIR ? দেখুন বিস্তারিত
কেন পেপার ব্যাগ ব্যবসা আজকের দিনে সবচেয়ে লাভজনক
১. প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ হওয়ায় বিকল্প হিসেবে পেপার ব্যাগের চাহিদা বেড়েই চলেছে
২. সকল ধরণের দোকান ও প্রতিষ্ঠান এখন পেপার ব্যাগ ব্যবহার করতে শুরু করেছে
৩. কম খরচে শুরু করা যায় এবং মুনাফা অনেক বেশি এই ব্যবসায়
৪. পরিবেশবান্ধব হওয়ায় মানুষের মধ্যে এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি থাকে
৫. সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে পরিবেশবান্ধক ব্যবসার জন্য সুবিধা ও সাবসিডি দেওয়া হয়ে থাকে
ব্যবসা শুরু করতে যা যা লাগবে
পেপার ব্যাগ ব্যবসা শুরু করতে আপনার মূলত দুটি উপায় রয়েছে – হাতে তৈরি অথবা মেশিন দিয়ে তৈরি। শুরুতে হাতে তৈরি পদ্ধতিতে ব্যবসা শুরু করলে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে।
প্রাথমিক খরচ
হাতে তৈরি ব্যবসায় খরচ ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। যদি আপনি অটোমেটিক বা সেমি-অটো মেশিনে কাজ করতে চান তবে খরচ দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুঁজি লাগতে পারে।
যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল
- কাগজ (ক্রাফট পেপার, নিউজ প্রিন্ট, আর্ট পেপার)
- গ্লু বা আঠা লাগবে
- দড়ি বা হ্যান্ডেল তৈরির উপকরণ
- কাঁচি, স্কেল, পেন
- স্ক্রিন প্রিন্টিং সামগ্রী (ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য)
- প্রয়োজন হলে ছোট স্কেল মেশিন
- প্যাকিং উপকরণ
উৎপাদন পদ্ধতি
যদিও পেপার ব্যাগ বানানো খুব বেশি জটিল নয়। নিচে একটি প্রাথমিক ধাপ দেওয়া হলো
১. কাগজ নির্ধারিত মাপে কেটে নেওয়া দরকার
২. সেটিকে নির্দিষ্ট আকারে ফোল্ড করে আঠা দিয়ে গেঁথে দিতে হবে
৩. নিচের অংশ শক্তভাবে সিল করে দিতে হবে
৪. হ্যান্ডেল লাগিয়ে প্রস্তুত করতে হবে
৫. প্রিন্টিং বা ব্র্যান্ডিং (যদি প্রয়োজন হয়)
আর একজন দক্ষ কর্মী দিনে গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ ব্যাগ পর্যন্ত তৈরি করতে পারেন।
আয়ের হিসাব
বড় কথা হলো উৎপাদনের পর আপনি সেই ব্যাগ সরাসরি খুচরো বা পাইকারি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। প্রতিটি ব্যাগ তৈরিতে গড়ে খরচ পড়ে ১ থেকে ২ টাকার মধ্যে এবং সেটি আপনি বিক্রি করতে পারেন ৩ থেকে ৬ টাকায়। নিচে মাসিক আয়ের একটি সম্ভাব্য হিসাব দেওয়া হলো।
উৎপাদন (প্রতি মাস) | আনুমানিক খরচ | বিক্রয় মূল্য | নিট লাভ |
---|---|---|---|
২৫,০০০ ব্যাগ | ৫০,০০০ টাকা | ৯০,০০০ টাকা | ৪০,০০০ টাকা |
৫০,০০০ ব্যাগ | ১,০০,০০০ টাকা | ১,৮০,০০০ টাকা | ৮০,০০০ টাকা |
১,০০,০০০ ব্যাগ | ২,০০,০০০ টাকা | ৩,৬০,০০০ টাকা | ১,৬০,০০০ টাকা |
আরও পড়ুন : জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে ?