আসানসোলঃ আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বড়তোরিয়ায় কালীমন্দিরে শনিবার সন্ধ্যায় কালীপুজোর উদ্বোধন ঘিরে প্রকাশ্যে এল বিজেপির অন্দরের কলহ। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার বড়তোড়িয়া সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলার তিনটি কালীপুজোর উদ্বোধন করেন। কিন্তু বড়তোরিয়ার পুজো ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা এখন জেলা তথা আসানসোল শিল্পাঞ্চলের রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।
এই কালীপুজোর উদ্বোধন উপলক্ষে কমিটির তরফে আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণপত্রে সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নাম। সহ সভাপতি হিসেবে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্যের নামও সেখানে রয়েছে। কিন্তু এলাকার বিধায়ক হিসেবে সেই কার্ডে নাম নেই বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। এমনকি পুজো উদ্বোধনের সময় তাঁকে মঞ্চেও দেখা যায়নি। দেখা যায়নি তার অনুগামীদেরও। যদিও বা বিধায়ক ও তার অনুগামী তথা বার্ণপুরের বিজেপি নেতাদের বারাবনির নুনি ও পান্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধে পুজো উদ্বোধনে দেখা গিয়েছিল।
এইনিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিষয়টি নিয়ে কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। দলে অস্বস্তি যে প্রবল, তা স্পষ্ট। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই ধরণের অন্তর্দলীয় বিতর্ক বিজেপি নেতৃত্বের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসও সুযোগ ছাড়ছে না। শাসকদলের স্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যেই বিজেপির এই ‘কার্ড-বিতর্ক’ নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা নিয়ে আমি বা আমার দলের কিছু বলার নেই’।
তবে এই বিষয়ে যখন অগ্নিমিত্রা পালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়, তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না’। আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকা বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ‘গোটাটাই পুজো কমিটির। আমরা এর কিছু জানিনা’।