ইয়েমেনে দোষী সাব্যস্ত নার্সের মৃত্যুদণ্ড বাতিলের খবর সঠিক নয়, দাবি কেন্দ্রীয় সূত্রের

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : ২০১৭ সালে একটি খুনের মামলায় ইয়েমেনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়া। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইয়েমেনের আদালত। সোমবার ভারতের গ্র্যান্ড মুফতির কার্যালয় জানায়, নিমিশার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এ খবর সঠিক নয়। যার ফলে বিষয়টি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইয়েমেন সরকারের তরফেও এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

আরো পড়ুন : কিভাবে করবেন অফলাইন ভোটার ফর্ম পূরণ ? দেখুন সহজ গাইড লাইন

কেরলের ৩৮ বছরের নার্স নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে উন্নত কর্মসংস্থানের জন্য ইয়েমেনে চলে যান। পরবর্তীতে ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মাহদির সঙ্গে রাজধানী সানায় যৌথভাবে একটি ক্লিনিক খোলেন তিনি। অভিযোগ, পরবর্তীতে মাহদি তাঁকে হয়রানি শুরু করেন। এমনকি তাঁকে ভারতে ফিরতেও বাধা দেন। সেই কারণে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০১৭ সালে মাহদিকে খুনের অভিযোগ ওঠে নিমিশার বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০২০ সালে ইয়েমেনের একটি আদালত ওই ভারতীয় তরুণীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি রাশাদ আল-আলিমি এবং হুথি নেতা মাহদি আল-মাশাত যথাক্রমে ২০২৪ সালের শেষ দিকে ও ২০২৫ সালের প্রথম দিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। দণ্ড কার্যকরের দিন নির্ধারিত হয়েছিল ১৬ জুলাই। মৃত্যুদণ্ড রদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল।

সোমবার ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি কাঁথাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ারের কার্যালয় দাবি করে, ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। গ্র্যান্ড মুফতির কার্যালয়ের তরফে বলা হয়, ‘নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড, যা আগে স্থগিত ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। সাময়িকভাবে স্থগিত করা মৃত্যুদণ্ড সানায় অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সম্পূর্ণরূপে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

যদিও মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড বাতিলের খবর ভুল। মন্ত্রকের একটি সূত্র সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, ‘নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড বাতিল সংক্রান্ত তথ্য ভুল।’ যার ফলে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইয়েমেনের সরকারও কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় এনিয়ে বেড়েছে জল্পনা। বাস্তবে কী সিদ্ধান্ত হল, এটাই এখন প্রশ্ন।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন