Bangla News Dunia, Pallab : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দেশের সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য কিছু বছর আগে চালু করা হয়েছিল ই-শ্রম কার্ড যোজনা। এই যোজনার মূল উদ্দেশ্যটাই হল – শ্রমিকদের আর্থিকভাবে সুরক্ষা প্রদান করা এবং তাদের সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা।
এই কার্ড যদি শ্রমিকদের থাকে তাহলে তারা প্রতি মাসে পেনশন, দুর্ঘটনা জনিত বীমা এবং আরও প্রচুর রকমের সুবিধা পেয়ে থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এখনো পর্যন্ত প্রায় 20 কোটিরও বেশি মানুষ এই যোজনায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন।
তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে আপনারা এই যোজনায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন ? কি কি সুবিধা রয়েছে এই ই শ্রম কার্ডের ? কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন এখানে আবেদন করতে হলে ? ইত্যাদি আরো নানারকম প্রশ্ন । তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণটা পড়বেন।
জেনে নিন এই ই শ্রম কার্ড সম্বন্ধে বিশেষ কিছু তথ্য :
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে নিয়ে আসা এই ই শ্রম কার্ড হল একটি বিরাট ডাটাবেস্, যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই প্রকল্পটি মূলত দেশের সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এই কার্ডটি শ্রমিকদের আর্থিক এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে তৈরি করা হয়েছে। সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পে সরকারি ওয়েবসাইট দেওয়া থেকে শুরু করে একক পরিচয় পত্র হিসেবেও এই কার্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলুন তাহলে এবার এই ই শ্রম কার্ড এর সুবিধাগুলি কি কি ? সেটা দেখে নেওয়া যাক –
ই শ্রম কার্ডের বিশেষ কিছু সুবিধা :
দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা এই ই শ্রম কার্ডের বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলি হল –
- এই ই শ্রম কার্ড ধারি প্রতিটা ব্যক্তি 60 বছর বয়সের পর প্রতি মাসে 3000 টাকা টাকা করে পেনশন পেয়ে থাকবে।
- সেই ব্যক্তির যদি কোনো রকম দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়, তাহলে তার পরিবারকে এককালীন 2 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
- দুর্ঘটনা যদি তো কারণে যদি কোনো ব্যক্তি প্রতিবন্ধী কিংবা আহত হন তাহলে তাকে 1 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।
- যে সমস্ত গৃহহীন ব্যক্তিরা এখানে আবেদন করবেন তাদেরকে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের অধীনে।
- ই শ্রম কার্ড ধারী গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
- এগুলি সমস্ত কিছুর ছাড়াও ওই পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এই প্রকল্পের অধীনে।
কিভাবে আবেদন করতে হবে এই ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে ?
এখানে সম্পূর্ণরূপে অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন জানাতে হবে। তার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিকে চলে যেতে হবে ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে নিজের আধার নম্বর, আধার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর ইত্যাদি দিয়ে এবং ওটিপি যাচাই করণের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম তথ্য পূরণ করতে হবে। শেষে সমস্ত কিছু একবার যাচাই করে নিয়ে সাবমিট করে দিলেই আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন : এখন লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন পত্রের স্ট্যাটাস জানা যাবে এক নিমেষেই, জেনে নিন পদ্ধতি
কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন এখানে আবেদন করতে হলে ?
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আবেদনকারী ব্যক্তির প্রয়োজন পরবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আধার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য ইত্যাদি।
কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন এখানে আবেদন করতে হলে ?
ই শ্রম প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আবেদনকারী ব্যক্তির কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে। সেগুলি হলো –
- আবেদনকারী ব্যাক্তির বয়স হতে হবে 16 থেকে 59 বছরের মধ্যে।
- নির্দিষ্ট আয়ের উৎস এখনো পর্যন্ত নেই এমন শ্রমিকরাও এখানে আবেদন করতে পারবে।
- আয়কর দাতা এবং EPFO/ESIC সদস্যরা এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ই শ্রম কার্ড প্রকল্পটি দেশের সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রকল্প। কেননা এই প্রকল্পের অধীনে সেই নির্দিষ্ট শ্রমিকরা নির্দিষ্ট বয়সের পরে প্রতি মাসে পেনশন বাবদ কিছু টাকা পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : জিহ্বা দেখে সেরা হোমিওপ্যাথি ঔষধ !