‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’, ‘র’-কে নিষিদ্ধ করার দাবি ! ভারতের নিশানায় মার্কিন কমিশন

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : বিদেশে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার যড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-কে (RAW) নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (USCIRF)। এমনকি ভারতে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগও আনা হয়েছিল কমিশনের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে। এবার সেই সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখান করে কড়া নিন্দা করল ভারত (US-India)। মার্কিন কমিশনের রিপোর্টটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক (MEA)।

আরো পড়ুন : কিভাবে ফ্রিতে গুগল সার্টিফাইড কোর্স করবেন? বিস্তারিত জেনে নিন

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘ইউএসসিআইআরএফ-এর সর্বশেষ রিপোর্টে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়নের ধারা জারি রাখা হয়েছে।’ মার্কিন কমিশনের রিপোর্টের সমালোচনা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, ‘ইউএসসিআইআরএফ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। ভারতের প্রাণবন্ত, বহুমুখী সংস্কৃতির সমাজের উপর সন্দেহ পোষণ করার ক্রমাগত প্রচেষ্টা ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য প্রকৃত উদ্বেগের পরিবর্তে একটি ইচ্ছাকৃত এজেন্ডা হিসেবেই প্রতিফলিত হচ্ছে।’ পালটা আমেরিকার এই কমিশনকেই একটি ‘উদ্বেগের বিষয়’ বলে চিহ্নিত করা উচিত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি গণতন্ত্র এবং সহনশীলতার আলোকবর্তিকা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা সফল হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

মার্কিন কমিশনটির রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার চেষ্টায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর যোগ রয়েছে। সেই কারণেই ‘র’-কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে আমেরিকার সরকার গঠিত ওই কমিশন। এমনকি ২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। পাশাপাশি গত বছরের নির্বাচনে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে মোদি ও বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই মার্কিন প্রশাসনের কাছে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করার দাবিও জানানো হয়েছিল কমিশনের রিপোর্টে। মূলত, বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ে নজর রাখে এই কমিশন। তারপর মার্কিন প্রশাসনকে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে এটি। যদিও এই কমিশনের সুপারিশ মানতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই মার্কিন প্রশাসনের।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন