Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফাইবার হল একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট যা উদ্ভিদজাত খাবারে পাওয়া যায়। এটি শরীরে হজম হয় না, তবে বৃহৎ অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে গাঁজন হয়, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
খাদ্যতালিকায় ফাইবারের গুরুত্ব:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করার উপর জোর দেন, কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে শুরু করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো পর্যন্ত বিভিন্ন উপকার করে।
ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক:
ফাইবার অন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং মলের আকার বাড়ায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। ফাইবারের কার্যকারিতা বাড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করাও জরুরি।
আরও পড়ুন:- বাড়িতে উইন্ডো এসি লাগাবেন নাকি স্প্লিট এসি? কিভাবে বুঝবেন, জানুন
হজমশক্তি উন্নত করে:
ফাইবার বৃহৎ অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
ওটস ও বার্লিতে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার পেটে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে, যা কোলেস্টেরলের সাথে আবদ্ধ হয়ে শরীরে এর শোষণ কমায়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:
ফাইবার রক্তে গ্লুকোজ শোষণের হার ধীর করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যা অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা:
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমিয়ে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমায়।
ফাইবারের প্রধান উৎস:
পুরো শস্য (ওটস, বার্লি), ফল (আপেল, নাশপাতি), শাকসবজি (ব্রকলি, গাজর), বাদাম এবং বীজ ফাইবারের ভালো উৎস।
আরও পড়ুন:- ঘুমের সঙ্গে রয়েছে ক্যানসারের যোগ ! কি জানালেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন:- পথ দুর্ঘটনায় সাহায্য করতে কি এগিয়ে আসেন বাংলার মানুষ? জানুন সমীক্ষা কি বলছে