Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। এদিকে আজ শনিবারই রয়েছে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। আবার শনি অমাবস্যাও বটে। অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা। শনিবার এই অমাবস্যা পড়ায় একে শনিশ্চরি অমাবস্যাও বলা হয়ে থাকে। একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অন্যটি মহাজাগতিক ঘটনা। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই ঘটনাই অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেমন সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, তেমনই গ্রহণের সময়ও বেশ কিছু সাবধানতা মেনে চলার পরামর্শ দেন জ্যোতিষবিদরা। শনিবার এই দুটি ঘটনাই একসঙ্গে ঘটবে বলে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরবাড়ি সুরক্ষিত রাখতে মেনে চলুন কিছু টিপস —–
১. সূর্যগ্রহণের দিন কয়েকটি বাস্তু টিপস মানার উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ, এমন দিনে ঘরের সামনে একটি স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকা উচিত। গেরুয়া বা লাল রঙের সিঁদুরের স্বস্তিকা ঘরের দরজার সামনে আঁকা থাকলে অশুভ শক্তি গ্রহণকালে গৃহে প্রবেশ করতে পারে না।
২. গ্রহণ এবং সাইক্লোন শুরুর আগে ঘরে একমুঠো দূর্বাঘাস রেখে দেওয়া প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। গ্রহণের সময় শস্যজাতীয় খাবার ঘরের রাখুন। সেখানে তুলসী পাতা ও দূর্বাঘাস রেখে দিন। গ্রহণ চলাকালীন রান্না করবেন না।
৩. ঝড় শুরুর আগে থেকে জানাল দরজা ভালো করে বন্ধ করে দিন। বিদ্যুতের প্লাগ খুলে রাখুন।
৪. সূর্যগ্রহণ চলাকালীন গর্ভবতী মহিলাদের সাবধান থাকতে পরামর্শ দেন জ্যোতিষবিদরা। এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের একটা ঘরেই থাকা ভালো। গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের বাইরে বেরনো একেবারেই উচিত নয়।
৫. গ্রহণকালে তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানো শুভ বলে মনে করেন অনেকে। খাদ্যবস্তু দান করাও শুভ। গ্রহণ কেটে গেলে স্নান করে নিন। ঝড় থেমে গেলে কোনও বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করলে বিশেষ শুভ ফল লাভ করা যায়। ফলে পরিবারে সুখ সমৃদ্ধি অক্ষয় হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের জেলা গুলি ছাড়াও একাধিক জেলায় হতে পারে বৃষ্টিপাত। এই জেলাগুলি হল- কলকাতা, হাওড়া, হুগলি। দক্ষিণবঙ্গের মোটের উপর সব জেলা গুলিতেই জাওয়াদের কম বেশি প্রভাব পড়বে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, জাওয়াদের প্রভাবে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশেও।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল