Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় জড়িত এক জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী। অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারার গোরি এলাকায় স্থানীয় জঙ্গি আদিল হুসেন থোকারের বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। আদিল থোকার ওরফে আদিল গুরি নামে চিহ্নিত ওই জঙ্গির বিরুদ্ধে ২২ এপ্রিল বাইসারন উপত্যকায় হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে পাকিস্তানি জ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। এই হামলায় জড়িত ত্রালের বাসিন্দা আরেক স্থানীয় জঙ্গি আসিফ শেখের বাড়ি জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহালগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র চার জঙ্গি। যাদের হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল। এছাড়াও তাদের শরীরে ক্যামেরা লাগানো ছিল। এই জঙ্গি হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে এসেছিলেন। জঙ্গিদে মধ্যে দু’জন স্থানীয়। সূত্র জানিয়েছে যে স্থানীয় দুই জঙ্গির নাম আদিল হুসেন থোকার, সে বিজবেহারার বাসিন্দা এবং আসিফ শেখ, সে ত্রালের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:- বন্ধ আটারি-ওয়াঘা বর্ডার, এখন সেখানে কী পরিস্থিতি ? জানুন
সামরিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, আদিল ২০১৮ সালে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে পাকিস্তানে গিয়েছিল। পাকিস্তানে থাকাকালীন সে একটি সন্ত্রাসবাদী শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়। গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরে ফিরে আসে। পহেলগাঁও হামলার কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে পাশতুন ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। সূত্রের খবর, হামলায় জড়িত সকল জঙ্গিই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য। তবে, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)ও এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। টিআরএফ হল লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন।
এটাও মনে করা হচ্ছে যে জঙ্গিরা অনেক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং তাদের পরিকল্পনা ছিল ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাটরা সফরের সময় আক্রমণ করার। যদিও মোদীর ওই সফর বাতিল করা হয়। সূত্র জানিয়েছে যে জঙ্গিরা প্রায় ১৫ মিনিট ধরে গুলি চালিয়েছিল এবং নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। সামরিক সূত্রের মতে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি সাধারণত ৬ সদস্যের একটি দল নিয়ে এই ধরনের হামলা চালায় এবং এটি সম্ভব যে পহেলগাঁও হামলায় আরও এক বা দু’জন জঙ্গি জড়িত ছিল, যাদের নজরদারির জন্য রাখা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাজদের খোঁজে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- সম্পূর্ণ বন্ধ বাণিজ্য! কত কোটির ক্ষতির মুখে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ? জেনে নিন