Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আজ নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা কর্মীসভা। এই কর্মীসভা দলের সব স্তরের কর্মীদের সভা। নেতাজি ইন্ডোরের এই সভা থেকেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দেবেন মমতা। সংগঠনের সামগ্রিক কৌশল নিয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যাতে বুথ স্তরের দলীয় কর্মীরাও দেখতে পান তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ থেকে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সমস্ত শাখা সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব এদিন নেতা ইন্ডোরে। তাই ইন্ডোরের চারপাশ ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ঘিরে ২০টির বেশি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সে দিকে তাকিয়ে গোটা শাসকদল। এই সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। সভায় থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সঙ্গে রাজ্যের সব নেতা, সাংসদ, বিধায়ক, মেয়র, কাউন্সিলর এমনকী পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিরাও। এছাড়াও আমন্ত্রিত প্রায় ১৫ হাজার প্রতিনিধি। জেলায় জেলায় বিভিন্ন তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে নেত্রীর বক্তব্য সরাসরি জায়ান্ট স্ক্রিনে এলাকার সাধারণ কর্মীদের দেখানোর ব্যবস্থা করছে সেখানকার দলীয় নেতৃত্ব।
লাইভ আপডেট:
BJP-র জামানত জব্দ করার পালা
অভিষেক ঠিক বলেছে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন এবার পাবে তৃণমূল। আমরা ২০২৫ পার করব। বিজেপির জামানত জব্দ করতে হবে।
জেলায় জেলায় কোর কমিটি
ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরতে জেলায় জেলায় কোর কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করলেন দলনেত্রী মমতা। বললেন, ‘‘ওই কমিটি ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করবে। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।’’ মমতা বলেন, ‘বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে সেজন্য একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার মানুষের ভোটটা বাইরের লোক এসে দিয়ে দেবে। আমি প্রমাণ দিচ্ছি। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাড়ি মহম্মদ সাইদুল ইসলাম। তাঁর এপিক কার্ড নম্বরের সঙ্গে যোগ করেছে হরিয়ানার সোনিয়া দেবীর নাম। মহম্মদ আলি হোসেনের বাড়ি রানিনগর। তাঁর সঙ্গে হরিয়ানার একজনের নাম তুলেছে। বুঝতে পারছেন খেলাটা? আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে। আধার কার্ড ওদের হাতে। একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের জায়গায় হরিয়ানা, পাঞ্জাব, বিহারের নাম ঢুকিয়েছে। রেলে করে নিয়ে আসবে।’
আরও পড়ুন:- জালিয়াতি এড়াতে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আধার ? বিস্তারিত জেনে নিন
কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা
কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে। নেত্রী বললেন , ‘‘২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান।’’ ১০ দিন সময় দিচ্ছি। অনলাইনের সঙ্গে ভোটার তালিকা মেলান। ভুয়ো ভোটার খুঁজে বের করুন।
ভোটার তালিকায় কারচুপি
মমতার দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পঞ্জাব-হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। দিল্লি থেকে এ সব করা হচ্ছে।
আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে
অনলাইনে কারসাজি করে ভুয়ো ভোটারের নাম তুলে দিয়েছে। আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে ওরা। এখানকার ভোটারদের এপিক নম্বর নিয়ে বাইরের রাজ্যের ভোটারের নাম জুড়ে দিয়েছে। এখানে অনেক এজেন্সি পাঠায়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস নামে একটি কোম্পানি আছে কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। দুটো- যতদূর আমি খবর জোগার করতে পেরেছি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং কিছু বিএলআরকে নিয়ে কাজ করেছে। ভোটের আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। নাহলে এই নির্বাচনে যাওয়ার দরকার নেই। পিকের আইপ্যাক এটা নয়। ওরা অন্য জায়গায় কাজ করে। ওঁ একটা রাজনৈতিক দল এদের নামে উলটোপালটা বলা বন্ধ করু।
‘গেরুয়া কমরেড’
বিজেপিকে ‘গেরুয়া কমরেড’ বলে কটাক্ষ মমতার। বললেন, ‘‘দুর্গাপুজোয় ক’দিন ছুটি দেয় আপনাদের সরকার? ছট পুজোয় ক’দিন ছুটি দেয়?’’
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
তফসিলি জাতির ভোট নিয়ে যায়, আর তারপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে থেকে বিআর আম্বেদকরের ছবি সরিয়ে দেন। হিন্দুধর্মের অপমান করছে। ভোটের সময় মতুয়া আর ভোট মিটে গেলেই ফতুয়া! আমরা সর্বধর্ম ভালোবাসি। যারা ভালো কাজ করছেন, তাদের পদোন্নতি করব। কিন্তু যারা কাজ করেন না, শুধু বিবৃতি দেন, দলের সমালোচনা করেন, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন না, তাদের আমি ভালোবাসি না।
আরও পড়ুন:- পঞ্চায়েত বিকেন্দ্রীকরণে দেশের সেরা মমতা’র বাংলা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
বিজেপিকে আক্রমণ মমতার
বিজেপি আর ২-৩ বছর যা করার করবে। বাংলাকে ওরা টার্গেট করেছে কারণ ওদের বিরুদ্ধে বাংলা লড়ে। অন্যরা লড়তে পারে না। বাংলা সর্ব ধর্মে বিশ্বাস করে। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে নির্বাচন কমিশনের মাথায় বসিয়েছে। সবটাই বিজেপির লোক বসিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্রের এমন দুরবস্থা আগে দেখিনি। তৃণমূল নেতাদের ফোন ট্যাপ করে। আর জি করে কোনও সমাধান করতে পারেনি সিবিআই। খালি বড় বড় কথা বলে। আমরা মানুষের পাহারাদার। কিন্তু দিনে কী করছি, রাতে কী করছি, মানুষ তা দেখে। বুঝতে হবে মানুষও আমাদের পাহারাদার। ভোট এগিয়ে এলেই এজেন্সির তৎপরতা বাড়ে। ভোট এলে মনে হয়, তৃণমূলের কাকে কাজে চার্জশিট দিতে হয়। ২০২৪ সালে বাংলার মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। জোর করে ৫টি আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাহলে ৩৪টি আসন পেতাম।
বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে একমাত্র দল তৃণমূল, যেখানে মেয়েদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০০৪ সালে সবাইকে ইচ্ছে করে হিরয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত বিজেপির তৎপরতা বাড়বে। ২০২৪ সালে বাংলার মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। জোর করে ৫টি আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাহলে ৩৪টি আসন পেতাম। মাত্র ২ দিনের নোটিসে বিশেষ অধিবেশন। তাও আপনারা এসেছেন ধন্য়বাদ। চব্বিশের পর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গিয়েছে, উৎসব গিয়েছে, তাই কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারিনি। সকলকে জায়গা দিতে পারিনি। তৃণমূলস্তরে কাজ করেছি। মাটিকে চিনি। আমিও একজন কর্মী। যারা ভাষণ দেন, কাজ করেন না, তাদের জন্য আমার কোনও দয়া মায়া নেই। বাংলার সংস্কৃতি আজ বিপন্ন। ওরা বহিরাগত। হিন্দু ধর্মের বদনাম করছে। বললেন মমতা।
বাংলায় একমাত্র তৃণমূল থাকবে, বললেন শতাব্দী রায়।
আমার থেকে বিজেপিকে কেউ চেনে না, বিজেপি করার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন বাবা। বললেন কীর্তি আজাদ।
ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, মঞ্চে বললেন ইউসূফ পাঠান।
বক্তব্য় রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাকে বদনাম করার চক্রান্ত করেছিল বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ও এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তার জবাব পেয়েছে। গরিবের টাকা আটকে রেখেছে। লজ্জা নেই। রাজ্য সরকার ১২ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৫৯ লক্ষ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছি। আমরা বিজেপির কাছে মাথা নত করব না। ২০২৬ সালের লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১৫-র বেশি আসন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসবেন। দলের শৃঙ্খলা না মেনে অনেকে সংবাদমাধ্য়মে বলছেন। এটা ঠিক নয়। ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে দলকে ছোট করছেন। যারা এসব করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। আগামীতে দলের সঙ্গে আবার যদি কেউ বেইমানি করে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বাংলা ছাড়া করার দায়িত্ব আমি নিলাম। আমি বেইমান নই। বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আমি নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। আমরা গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বেরোবে। চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে দু জায়গায়। এই অভিষেক কে? সেটা লেখা নেই।
বক্তব্য রাখছেন সুব্রত বক্সী। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে মমতাদি বলবেন। অভিষেকও বলবেন।
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে একসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোরে এলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে দেখতে ভিড় অন্য তৃণমূল কর্মীদের।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছলেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এলেন নেতাজি ইন্ডোরে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক দিশা দেখাবেন। প্রত্যেকের এলাকার জন্য আমরা নির্দেশ পাব। ফলে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
নেতাজি ইন্ডোরে এখনও তৃণমূলের বৈঠক শুরু হয়নি। মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মহাসমাবেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
নেতাজি ইন্ডোরে এসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা একজোট হয়ে আছি, একজোট হয়েই থাকব। অপেক্ষা করে আছি, দিদি কী বলবেন শোনার জন্য। তাঁর নির্দেশ শিরোধার্য।
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের কর্মিসভার বৈঠকে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের নেতা এবং কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত স্তর থেকে মন্ত্রী স্তর পর্যন্ত নেতারা জড়ো হয়েছেন।