
SSC Tainted List Case: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা এক নতুন মোড় নিতে চলেছে। বহু প্রতীক্ষিত ‘Tainted List’ বা কলঙ্কিত তালিকা প্রকাশের পর, এবার বিজয় বিশ্বাস বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য উঠেছে। আগামীকাল, ৮ই অক্টোবর, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধ্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে, যা রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
এই মামলাটি মূলত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের একাধিক আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের লড়াই এবং আইনি জটিলতার পর এই শুনানিকে কেন্দ্র করে নতুন করে আশা ও উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে।
মামলার পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অর্ডারে কিছু যুগান্তকারী নির্দেশ ছিল, যা এই মামলাটিকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। সেই নির্দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
- কলঙ্কিত তালিকা প্রকাশ: আদালত পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (WBCSSC) নির্দেশ দিয়েছিল যে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত ‘কলঙ্কিত’ প্রার্থীদের নিয়োগ হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল করা হয়েছিল, তাদের সম্পূর্ণ তালিকা পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশ করতে হবে। এই নির্দেশের ৭ দিনের মধ্যেই কমিশনকে তাদের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ ১৮০৪ জনের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত শিথিল: আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশে আদালত জানায় যে, যে সমস্ত আবেদনকারী ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন করে আরোপিত স্নাত বা স্নাতকোত্তর স্তরে ৫০% নম্বরের বাধ্যবাধকতা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যাদের ৪৫% নম্বর রয়েছে, তারাও পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। আবেদনকারীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত।
৮ই অক্টোবরের শুনানি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই মামলার শুনানিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এর রায়ের ওপর নির্ভর করছে রাজ্যের আপার প্রাইমারি থেকে শুরু করে অন্যান্য স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ। জানা গেছে, মামলার শুনানির ঠিক আগে নতুন করে কিছু ডকুমেন্ট বা নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, যা মামলাটিকে এক নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
পূর্ববর্তী নির্দেশে ‘Tainted List’ প্রকাশ এবং যোগ্যতার শর্ত শিথিলের মতো ইতিবাচক পদক্ষেপ চাকরিপ্রার্থীদের মনে আশা জাগিয়েছিল। এখন ৮ই অক্টোবরের শুনানি থেকে আরও স্পষ্ট এবং ইতিবাচক নির্দেশ আসবে বলে মনে করছেন সকলে। এই শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের আপার প্রাইমারি এবং SLST চাকরিপ্রার্থীরা। মামলার ফলাফল রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ফেরাতে এবং যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের পথ সুগম করতে কতটা সহায়ক হবে, সেটাই এখন দেখার।
Follow Us