Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ইন্টারনেটে এখন আমাদের সর্বত্র বিচরণ। আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট—যে কোনও কিছুর খোঁজ এখন অবলীলায় চলে ইন্টারনেটে। সকলেই বলেন ‘গুগল করে নিতে হবে’। এই প্রবণতটা দিনে দিনে বাড়ছে। তবে এমন কিছু বিষয় বা কি ওয়ার্ড আছে, যা ইন্টারনেটে সার্চ করলে জেল কিংবা জরিমানা— দুটোই হতে পারে। আজকের আলোচনাটা সেটা নিয়েই।
কী কী সার্চ করা পুরোপুরি ব্যান ইন্টারনেটে?
ইন্টারনেটে সার্চ হওয়া সবচেয়ে সংবেদনশীল বাক্য হল ‘How to make a Bomb’ ভুল করেও এই বাক্য সার্চ ইঞ্জিনে ফেলবেন না। ফেললে শাস্তি অনিবার্য। কারণ বেশিরভাগ দেশেই বোমা বা বিস্ফোরক তৈরি করা নিষিদ্ধ। তাই বোমা বা বিস্ফোরক তৈরি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে পড়লে, তাতে নজরদারি শুরু হয়ে যায়।
ধরেই নেওয়া হয়, নাশকতার জন্য এটা করা হচ্ছে। তাই কোথা থেকে এই সার্চ হচ্ছে, তা সহজেই খুঁজে বের করতে পারে পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট যে কোনও বিভাগ। তাই আর যাই করুন, কৌতূহল থাকলেও বোমা, বন্দুক বা বিস্ফোরক সংক্রান্ত কোনও কিছু সার্চ করা থেকে বিরত থাকুন। না হলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনবেন।
দ্বিতীয় সংবেদনশীল বিষয়টি হলো চাইল্ড পর্নোগ্রাফি। বিশ্বের যে কোনও দেশই এই চাইল্ড পর্ন নিয়ে অত্যন্ত কড়া। ভারতে শিশু নিগ্রহ তথা চাইল্ড পর্নের বাড়বাড়ন্ত রুখতে রয়েছে পসকো আইন। যা অত্যন্ত কড়া। এতে জেল এবং জরিমানা দুটোই হয়। সারা বিশ্বেই পসকোর মতো অত্যন্ত কড়া আইন আছে। তাই যে সব সাইট চোরাগোপ্তা ভাবে চাইল্ড পর্ন ছড়ায়, সেগুলোকে নিয়ম করে ব্যান করা হয়। একই সঙ্গে চাইল্ড পর্ন সংক্রান্ত যে কোনও সার্চও মনিটরড হয়। যে বা যারা চাইল্ড পর্ন সংক্রান্ত সার্চ বেশি করে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়।
এর পর আসে হ্যাকিং সংক্রান্ত কোনও টিউটোরিয়াল এবং সফটওয়্যারের খোঁজ। হ্যাকিংও একটি গুরুতর অপরাধ। ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং কম্পিউটার ফ্রড এবং অ্যাবিউজ় অ্যাক্টে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এই হ্যাকিং। তাই ভুল করেও হ্যাকিং সংক্রান্ত কোনও তথ্য সার্চ করবেন না। এটা করলেই ধরে নেওয়া হবে, আপনিও কোনও গুরুতর অপরাধ করতে যাচ্ছেন। এর জন্য জেল এবং জরিমানা দুটোই হতে পারে।
এর পরে আসে সবচেয়ে কমন ভুল। পাইরেটেড মুভি সার্চ। সমীক্ষা বলছে, বেশিরভাগ ইন্টারনেট ইউজ়ারের প্রবণতাই থাকে পাইরেটেড সিনেমা সার্চ করা। কোনও একটা ভালো সিনেমা এসেছে, সেটা হলে দেখতে যাওয়ার সময় নেই, তাই সার্চ করে অনেকেই দেখে নেন, ওই মুভি ইন্টারনেটে এসেছে কি না। অনেকে তা পেয়ে গিয়ে অবলীলায় ডাউনলোডও করে ফেলেন। এটা কিন্তু গর্হিত অপরাধ। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস ও কপিরাইট লঙ্ঘন করা হয় পাইরেটেড মুভি নামালে। পাশাপাশি এটা ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির উপরও বড়সড় ক্ষতি করে। তাই যে যে সাইট পাইরেটেড মুভি দেয়, সেগুলিকে নিয়ম করে ব্লক করা হয়। একই ভাবে যাঁরা নিয়ম করে এই রকমের মুভি নামান, তাঁদের উপরও কড়া নজরদারি চলে। এই অপরাধে বড়সড় জরিমানা হতে পারে।
কিন্তু এত নজরদারি কেন? এবং কোন পথে? সেই নিয়ে আলোচনা পরের পর্বে।
আরও পড়ুন:- WEBCSC দপ্তরে চাকরির বিশাল সুযোগ! মাসিক বেতন ৭১,৫৭৫/ – টাকা, বিস্তারিত দেখে নিন
আরও পড়ুন:- SBI-এর মিউচুয়াল ফান্ড SIP, মাত্র 250 টাকা দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ, জেনে নিন বিস্তারিত