ওষুধ ছাড়াই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে চান? ঘরে বসেই করুন এই ৫ কাজ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

cholesterol

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:-কোলেস্টেরল (Cholesterol) এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা কোষের ঝিল্লি বা (সেল মেমব্রেনে)-এ পাওয়া যায় এবং যা সব প্রাণীর রক্তে পরিবাহিত হয়। একটি সুস্থ শরীরের জন্য প্রচুর কোলেস্টেরল প্রয়োজন। কোলেস্টেরল কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্নায়ু কোষকে রক্ষা করতে, ভিটামিন ও হরমোন তৈরি করতে কাজ করে। অনেক কিছু আছে যা খেলেও শরীর কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়, যেমন মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার।

মানব শরীরে প্রধানত দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায় – উচ্চ ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (High Density Lipoprotein/ HDL) এবং নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (Low Density Lipoprotein Cholesterol/ LDL) কোলেস্টেরল। এলডিএল কোলেস্টেরলকে খারাপ কোলেস্টেরলও বলা হয়।

উচ্চ মাত্রায় এলডিএল কোলেস্টেরল থাকলে হৃদরোগের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। এইচডিএল কোলেস্টেরল ভাল কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। এটি আপনার রক্ত থেকে লিভারে খারাপ কোলেস্টেরল বহন করে এবং এটি থেকে মুক্তি পায়। এছাড়াও এইচডিএল কোলেস্টেরল আপনার শরীরকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা উচিত। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে এই ৫টি কাজ করা জরুরি।

আরও পড়ুন:- মাসে 31,000 টাকা বেতনে কলকাতা এয়ারপোর্টে নতুন কর্মী নিয়োগ। শীঘ্রই আবেদন করুন

চিয়া বীজ 

চিয়া বীজ ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সকালে চিয়া বীজ ভেজানো জল পান করলে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল)-র মাত্রা কমতে পারে। চিয়া বীজে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার জল শোষণ করে, এটি একটি জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে যা রক্ত ​​​​প্রবাহে কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে প্রথমে পান করুন।

গোটা শস্য 

গোটা শস্য হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল বলে মনে করা হয়। কারণ এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ওটস এবং বার্লি বিশেষত বিটা-গ্লুকান নামক একটি দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। ব্রেকফাস্টে এক বাটি ওটমিল বা স্যুপ এবং স্যালাডে বার্লি যোগ করা খুব উপকারী হতে পারে।

ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার 

ফাইবারকে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো মনে করা হয়। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ালে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, শিম এবং মটরশুটি শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করে। খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা শুধু হজমশক্তিই বাড়ায় না, কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। প্রতিদিনের ডায়েটে কমপক্ষে ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

শারীরিক কার্যকলাপ  

শারীরিক কার্যকলাপ কোলেস্টেরল কমাতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ব্যায়াম করা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করুন।

বাদাম এবং বীজ 

ভাল চর্বি সমৃদ্ধ বাদাম যা কোলেস্টেরল কমায় তার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোট এবং বাদাম। এতে অসম্পৃক্ত চর্বি থাকে, যা ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। একটা কথা মনে রাখবেন বাদাম সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন:- বদলে যাচ্ছে UPI পেমেন্টে টাকা লেনদেনের পদ্ধতি, বিস্তারিত জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন