Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : টয়লেট সবাই সমান ভাবে ব্যবহার করে। কিন্তু সেই টয়লেট অপরিষ্কার থাকলে সেখান থেকে রোগ জীবাণু সংক্রমন হয়। তাই বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের ওপরেই সমান দায়িত্ব বর্তায় এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার। সপ্তাহে অন্তত এক দিন ভালো করে টয়লেট পরিষ্কার করতে হবে। করোনা আবহে বেশি করে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন খুবই জরুরি দরকার।
দেখে নিন বেশ কিছু উপায় —-
১. টয়লেট পরিষ্কারের আগে বালতি, মগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র কমোড থেকে দূরে রাখুন।
২. লিকুইড টয়লেট ক্লিনিং ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ও ঝামেলা কম। কমোড পরিষ্কারের আগে প্রথমে ভালোভাবে ফ্ল্যাশ করে নিন।পরিমাণ মতো লিকুইড টয়লেট ক্লিনার অর্থাৎ হারপিক জাতীয় তরল ছিটিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ভালোভাবে ব্রাশ করলেই কমোড একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩. কমোডের পেছনের অংশ পরিষ্কার করতে সবচেয়ে বেশি মুশকিলে পড়তে হয়। কেননা, সেখানে সহজে ব্রাশ পৌঁছায় না। আর সেখানে প্রচুর নোংরাও জমা হয়। তাই সেখানে বেশি করে ডেটল জল বা অন্য জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন। আর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
৪. তাই টয়লেট পরিষ্কারের পর ব্রাশটিকে একটি জীবাণুনাশক তরলে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। দেখবেন একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে। টয়লেটের বিভিন্ন অংশ পরিষ্কারের জন্য বিভিন্ন আকার ও আকৃতির ব্রাশ রাখতে পারেন।
৫. বাথরুম বা কমোড পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করবেন।
৬. বাথরুমের প্রতিটি কোনা পরিষ্কার রাখাও খুব জরুরি। ফ্ল্যাশ করার সময় টয়লেটের ঢাকনা লাগিয়ে নেবেন। নতুবা জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৭. নিজের সুরক্ষার জন্য টয়লেট পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা এমনিতেই জরুরি। জীবাণুমুক্ত জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সঠিক উপায়ে করোনা–প্রতিরোধী লিকুইড টয়লেট ক্লিনিং ব্যবহার করে টয়লেট পরিষ্কার করুন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল