কলকাতার বাতাসে ধুলোর জোয়ার, বড় বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষা। বিস্তারিত জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কলকাতা শহরের বাতাস কতটা দূষিত ? তা নিয়ে নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল এক সমীক্ষা। কলকাতা পুর এলাকার উপর চালানো এই সমীক্ষা জানাচ্ছে, শহরের বায়ুতে ভাসমান ক্ষুদ্র ধূলিকণার (PM10 ও PM2.5) সবচেয়ে বড় উৎস রাস্তার ধুলো, নির্মাণস্থলের মাটি, আবর্জনা পোড়ানো, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে লাগা আগুন এবং শ্মশানের ধোঁয়া। শুধু PM10 নয়, সূক্ষ্ম কণিকা PM2.5-ও শহরের বাতাসে বিপজ্জনক মাত্রায় রয়েছে ।

‘দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট’ (টেরি)-কে দিয়ে এই সমীক্ষা করিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তথা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। 2022-23 সালের শীতকাল, 2023 সালের গ্রীষ্ম এবং 2023-24 সালের শীতকালে কলকাতার 6টি জায়গায় বায়ুর গুণমান পরিমাপ করা হয়। দেখা যায়, প্রতিটি এলাকাতেই বায়ু দূষণের প্রধান কারণ ধুলো। গ্রীষ্মকালে তার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

সমীক্ষা জানাচ্ছে, বস্তি ও ছোট খাবারের দোকানে কাঠ-কয়লা দিয়ে রান্নার ধোঁয়াও বড় কারণ। এর ফলে বছরে যত PM2.5 বাতাসে মিশছে, তার 29 শতাংশ এই উৎস থেকেই। অন্যদিকে PM10-এর 18 শতাংশও আসছে রান্নার ধোঁয়া থেকে । এছাড়া গাড়ির ধোঁয়া ও কলকারখানার ধোঁয়াও দূষণে বড় ভূমিকা নিচ্ছে ।

এই সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রের দিকে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। কারণ, এই এলাকায় গাড়ির সংখ্যা বেশি, বস্তির সংখ্যা বেশি, আর রাস্তার ধুলোয় সিল্টের পরিমাণও বেশি। এই পরিস্থিতিতে 2019 সালে কেন্দ্র শুরু করেছিল ‘ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’ বা NCAP। লক্ষ্য, 2026 সালের মধ্যে শহরের বাতাস থেকে PM10 দূষণ 40 শতাংশ কমানো। কলকাতা-সহ রাজ্যের মোট 6টি শহর এই কর্মসূচির অধীনে রয়েছে ।

এই নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “সমস্যা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। এর জন্য যেমন প্রশাসনিক তৎপরতা প্রয়োজন একই সঙ্গে প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতারও। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একাধিক পুরসভা একাধিক দফতরকে নিয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। রাস্তার ধুলো নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণস্থলে নিয়ম মেনে পর্দা টানানো, বর্জ্য না পুড়িয়ে যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং বাড়িতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার—এই চারটি দিকেই নজর দিতে হবে। না-হলে শহরের বাতাস আমাদের জন্য যথেষ্ট বিপদের কারণ হতে পারে।”

পরিবেশবিদদের মতে, যত তাড়াতাড়ি শহরের রাস্তাঘাট, নির্মাণকাজ ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, ততই কমবে বায়ু দূষণ। না-হলে নাগরিকদের শ্বাসের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:- মুর্শিদাবাদ-ভাঙড় হিংসায় বাংলাদেশি জিহাদিদের হাত, রিপোর্ট কেন্দ্রের

আরও পড়ুন:- শিয়ালদা স্টেশনে গরম ৭টি কচুরি-তরকারি-আচার মাত্র ১৫ টাকায় ।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন