Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কসবার হালতুতে আড়াই বছরের শিশু, মা-বাবার মৃত্যুতে পুলিশকে ভাবাচ্ছিল, শিশুটিকে খুন করল কে? ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল, বাবার ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে কোলে কাপড় দিয়ে জড়ানো রয়েছে আড়াই বছরের সন্তান রুদ্রনীল রায়। পাশে ঝুলছিল মায়ের দেহ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসতে স্পষ্ট হল, শিশুটিকে আগে খুন করা হয়েছিল। তারপর মা-বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন।
রুদ্রনীলকে প্রথমে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, আড়াই বছরের রুদ্রনীলকে প্রথমে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়। পুলিশের অনুমান, সোমনাথ রায় ও সুমিত্রা রায়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। শিশুটির নাক ও ঠোঁটে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। মুখে কিছু চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। তার ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাবা না মা, কে খুন করেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। সোমনাথের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখা গিয়েছে, ঘাড় ও গলায় দড়ির চাপ দাগ। সুমিত্রা রায়ের ঘাড়েও দড়ির দাগ, ডান দিকে মাথার পিছন দিকের ত্বক থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ডান চোখ কালো হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:- ইডলি খেলে হতে পারে ক্যান্সার! নতুন গবেষণা রিপোর্ট কি বলছে, জেনে নিন
ঘরের দেওয়ালে লেখা ছিল সুইসাইড নোট
গত মঙ্গলবার কসবার হালতুতে একই বাড়িতে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘরের দেওয়ালে লেখা ছিল সুইসাইড নোট। সেই নোটে সোমনাথ তাঁর মামা ও মামির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের উল্লেখ করেছেন। মামা প্রদীপকুমার ঘোষাল ও মামি নীলিমা ঘোষালকে বুধবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাজারে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দেনা
জানা গিয়েছে, বাজারে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দেনা ছিল সোমনাথ সরকারের। অটোচালক সোমনাথ চরম অর্থকষ্টে ভুগছিলেন। সন্তানের অসুস্থতায় টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে মামা-মামি বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল মানসিক ভাবে। সব মিলিয়ে গভীর অবসাদে চলে যান সোমনাথ ও স্ত্রী সুমিত্রা রায়। যদিও মামা-মামির দাবি, সোমনাথের সঙ্গে একটা অশান্তি হয়েছিল, কিন্তু আত্মহত্যায় প্ররোচনা তাঁরা দেননি।
আরও পড়ুন:- সকালে ঘুম থেকে উঠেই করুন এই ৫ কাজ, পেটের মেদ ঝরবে
আরও পড়ুন:- আমেরিকাকে যুদ্ধ নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি চিনের, জানতে বিস্তারিত পড়ুন