Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : করোনার দাপটে উদ্বেগ জনক অবস্থা। বিশেষত, ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি এখন বেশ খারাপ। রোজই বাড়ছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। আবার করোনার নতুন স্ট্রেন বাড়িয়েছে চিন্তা। ওমিক্রন আগের অন্য স্ট্রেনের করোনা ভাইরাসের থেকে বেশি সংক্রামক বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে এই স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা আমাদের রাজ্যেও বাড়ছে। সরকার নানা বাধানিষেধ এনেছে করোনাকে আটকানোর জন্য।
তবে নতুন একটি গবেষণা জানাচ্ছে, কিছু মানুষ করোনা ভাইরাসে কম আক্রান্ত হন। কিন্তু কেন এমনটা হয়? গবেষকদের কথায়, এই সকল মানুষ গুলির শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী ইমিউন টি সেল বেশি থাকে। তাঁদের সাধারণ সর্দি-কাশি সহ করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে কম। গবেষকরা বলছেন, শরীর কোনও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে তৈরি হয় ইমিউনিটি। এই কাজটা করে T Cell। মানুষের শরীরে এই টি সেল বেশি থাকলে কোভিড থেকে বাঁচা যেতে পারে।
ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের তরফে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই পরিবারে একজন করোনায় আক্রান্ত, কিন্তু অন্য জনের শরীরে মিলছেন না কোভিড। এর কারণ হল কোভিডে আক্রান্ত না হওয়া ব্যক্তিটির শরীরে রয়েছে বেশি পরিমাণে টি সেল। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে। এই গবেষণার মাধ্যমে করোনার ক্ষেত্রে টি সেলের ভূমিকা নিয়ে নতুন অধ্যায় খুলে গেল বলেই মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণার মুখ্য লেখক রিয়া কুণ্ডু বলেন, করোনা সবসময় সংক্রমণ তৈরি করতে পারছে না। আমরা দেখি, শরীরে আগে থেকে থাকা টি সেল এক্ষেত্রে মানুষকে রক্ষা করছে। টি সেল তৈরি হয়েছে সাধারণ সর্দি-কাশি সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস থেকে। সভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরই ব্যক্তির শরীরে তৈরি হয়েছিল টি সেল সার্স কোভ ২ থেকে রক্ষা করছে।
এক্ষেত্রে ৫২ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছিল গবেষকদল। এই মানুষ গুলি যাঁদের সঙ্গে থাকতেন তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। কিন্তু ৫২ জনের মধ্যে অর্ধেককে কোনও ভাবেই ছুঁতে পারেনি কোভিড ১৯। গবেষক দল জানায়, আগের সাধারণ কোনও করোনা ভাইরাসের জন্য এই মানুষ গুলির শরীরে তৈরি হয়েছে টি সেল।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল