কৃষকবন্ধুদের জন্য নতুন প্রকল্প চালু, ৩২০০০ টাকা পাবে কৃষকরা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : কৃষকদের জন্য খুশির খবর, জৈব চাষ করলে মিলবে ভর্তুকি, নতুন প্রকল্প চালু করল সরকার , ভারতে দিন দিন জৈব চাষের চাহিদা বাড়ছে। আগের থেকে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে খাবারের মান নিয়ে। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে জৈব শাকসবজি, ধান, গম, ডাল, ফল-মূল।

আরও পড়ুন : হার্টের  সমস্যার ক্ষেত্রে সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !

অথচ অনেক কৃষকই এখনও রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করছেন, যার খরচও বেশি, আবার মাটির ক্ষতি হয়। তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকার একেবারে নতুন ভর্তুকি প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যাতে কৃষকরা সহজে জৈব চাষে যেতে পারেন এবং বেশি লাভ করতে পারেন।

সরকার কী সুবিধা দিচ্ছে?

২০২৫ সালে সরকার কয়েকটি বড় প্রকল্প চালু করেছে, যেমন —

পারম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (PKVY)

মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেইন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্ট রিজিয়ন (MOVCDNER)

এই প্রকল্পে কৃষকরা তিন বছর ধরে প্রতি হেক্টরে ৩১ হাজার থেকে ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত সরকারি সহায়তা পাবেন। এই টাকা দিয়ে জৈব সার, বায়ো-পেস্টিসাইড, ভালো বীজ, ভার্মি কম্পোস্ট কিনতে পারবেন।

এছাড়া, যারা গ্রামে মিলেমিশে ফার্মার গ্রুপ বা FPO তৈরি করতে চান, তারাও প্রশিক্ষণ ও অন্য খরচের জন্য টাকা পাবেন।

জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং (ZBNF) কী?

আরেকটা বড় উদ্যোগ হচ্ছে ভারতীয় প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি (BPKP), যেখানে রাসায়নিক সার-কীটনাশক ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশি পদ্ধতিতে চাষ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা কম খরচে বেশি লাভ করতে পারবেন। সরকারের তরফে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জৈব পণ্য বিক্রির জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম

‘জৈবিক কৃষি’ নামে একটা বিশেষ অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত জৈব শাকসবজি, ধান, ডাল, ফলমুল সহজে বিক্রি করতে পারবেন। এতে দালাল ছাড়াই সরাসরি বাজারে বা গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে যাবে।

বড় ভর্তুকি ইউনিট তৈরিতে

জৈব সার বা বায়ো-পেস্টিসাইড তৈরির জন্যও সরকার বিশেষ ভর্তুকি দিচ্ছে।

যদি কেউ নিজে বায়ো-ফার্টিলাইজার বা বায়ো-পেস্টিসাইড তৈরির ইউনিট তৈরি করেন, তাহলে ২৫% ভর্তুকি পাবেন, যা সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ফল ও সবজির বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট তৈরির জন্য ৩৩% ভর্তুকি মিলবে, যা সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

কৃষকদের আর্থিক সহায়তা

কৃষি অবকাঠামো তহবিল (AIF) নামের আরেকটা প্রকল্পে কৃষকরা জমির ফসল কাটার পর স্টোরেজ, কোল্ড স্টোরেজ, গুদামঘর বা প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করতে ঋণ পাবেন। এতে ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় কমবে আর ভালো দামে বিক্রিও হবে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন